দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ বিশ্বে সাড়া জাগানো ছবি“ম্যান অব স্টিল” বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে গত ২৮ জুন। মুক্তি পাবার পরই ছবিটি অসংখ্য দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। “ম্যান অব স্টিল” ১৪জুন বিশ্বব্যাপী মুক্তি দেয়া হয়েছিল। মুক্তির এত কম সময়ে বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া এটিই প্রথম কোন ছবি।
অনলাইন পত্রিকা ঢাকা ট্রাইবুন স্টার সিনেপ্লেক্সের মার্কেটিং ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবা উদ্দিনের বরাত দিয়ে জানায়,” “ম্যান অব স্টিল” হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাবে মুক্তির পর এত স্বল্প সময়ের মাঝে বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি। আমরাই এ ছবিটি ওয়ারনার ব্রাদার’স থেকে সরাসরি কিনে এনেছি, এটিও বাংলাদেশে প্রথম। এ ছবি নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক, আমরা আশা করছি আগামী এক মাস এ ছবি দেখার জন্য হল ভর্তি দর্শক উপস্থিত থাকবে। সামনে থেকে আমরা আমাদের দর্শকদের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুক্তি পাওয়া ছবি মুক্তির এক সাপ্তাহের মাঝেই নিয়ে আশার চেষ্টা করব“
এখানে উল্লেখ্য “ম্যান অব স্টিল” ২০১৩ সালের ১৪ জুন মুক্তি পায়। ছবিটি মূলত সুপার হিরো “সুপার ম্যান”কে কেন্দ্র করে নির্মিত। এতে সুপার ম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করেন হেনরি ক্যাভিল। ক্যাভিলের সাথে কো-আর্টিস্ট হিসেবে অভিনয় করেছেন অ্যামি অ্যাডামস। ছবিটির ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন জ্যাক স্যান্ডার ও প্রডিউসার ক্রিস্টোফার নোলান। ছবিটি তৈরি প্রক্রিয়া শুরু করা হয় ২০০৮ সাল থেকেই।
“ম্যান অব স্টিল” ছবিতে ক্লার্ক কেন্ট একজন জার্নালিস্ট। শিশু অবস্থায় ক্রিপ্টন থেকে আসে ক্লার্ক, খুব ছোট বেলায় ক্লার্ককে দত্তক নেয় তাঁর পালক পিতা মাতা। পালক পিতা মাতাকেই ক্লার্ক বাবা-মা হিসেবে জানে। তাদের মাঝেই তার বেড়ে ওঠা। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তিনি উপলব্ধি করেন তার সুপার পাওয়ার গুলো। তবে কখনই তিনি সেগুলো খারাপ কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তিনি জানতেন তার এই ক্ষমতা একসময় মানব জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তার ধারণা সত্যি হয়। পৃথিবী আক্রান্ত হয় বহিঃশত্রুর। সামগ্রিক অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। পৃথিবী রক্ষার্থে এগিয়ে আসে সুপারম্যান, ক্লার্ক। এভাবেই এগিয়ে চলে “ম্যান অব স্টিল” ছবির কাহিনী।