দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের সঙ্গে সে দেশে সন্ত্রাসের বড় যোগসূত্র রয়েছে বলে এক বছর পূর্বে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ওয়াশিংটন। সেই রিপোর্টে যে ভুল ও প্রমাণের অভাব রয়েছে সেটি স্বীকার করে নিলো মার্কিন বিচার বিভাগ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের সঙ্গে সে দেশে সন্ত্রাসের বড় যোগসূত্র রয়েছে বলে এক বছর পূর্বে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ওয়াশিংটন। সেই রিপোর্টে যে ভুল ও প্রমাণের অভাব রয়েছে সেটি স্বীকার করে নিলো মার্কিন বিচার বিভাগ।
মার্কিন প্রশাসন এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এবং শেষ বারের মতো এও জানিয়ে দিলো যে, তবে ওই নথি তারা বদলাবে না। তবে যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ তৈরি হয়েছে ওই রিপোর্টে, পরের রিপোর্টে সেটি যতোটা সম্ভব কমানো হবে।
‘জাস্টিস অ্যান্ড হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’র ওই রিপোর্টটিতে দাবি করা হয়েছিল যে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গি হামলা পর হতে এই পর্যন্ত ৫৪৯ জনের মধ্যে ৪০২ জন, অর্থাৎ ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
সে কারণে ২০১৭ সালের মার্চে ছ’টি মুসলিম দেশ হতে আমেরিকায় অভিবাসন বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। নথি প্রকাশের পর সমালোচকরা সরব হয়েছিলেন, ওই রিপোর্টের তথ্য ভুল এবং বিভ্রান্তিকর।
রিপোর্টে তাদের দাবির সঙ্গে তেমন কোনো তথ্য প্রমাণই দিতে পারেনি মার্কিন প্রশাসন। তবে মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে যে, ওই রিপোর্ট তারা আর বদলাবে না। বরং যেসব ‘ভুল বোঝাবুঝি’ তৈরি হয়েছে রিপোর্টে, পরের রিপোর্টে সেটি যতোটা সম্ভব কমানো হবে।
উল্লেখ্য, ওই রিপোর্টের কারণে দেশটিতে বসবাসকারী ও অভিবাসন প্রক্রিয়া চরমভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বিভিন্ন সময় মুসলমানদের নানা রকম হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে।