দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছে। তবে এই প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকারে আসছে, ঠিক তেমনি হুমকির মধ্যে পড়ছে কয়েকটি পেশা। কোন পেশা সেগুলো? জেনে নিন।
আদিকালের সেই এক নীতি। আর তা হলো জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বেছে নেয় নানা ধরণের পেশা। জীবন চালাতে গিয়ে পেশাকে গুরুত্ব দিতেই হয়। তবে প্রযুক্তির কারণে বর্তমানে বেশ কিছু পেশা বেশ হুমকির মধ্যে পড়েছে। তথ্য: বিবিসি’র।
জন পুগলিয়ানো বলছেন এটি আর কোথাও না হলেও উন্নত দেশগুলোতে হবে। অর্থাৎ মানুষকে আর হাতে কলমে এ ধরণের কাজগুলো করতে হবেনা।
লেখন জন পুগলিয়ানো নামে জনৈক গবেষক এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তিনি গবেষণা করে যা পেয়েছেন তা শুনলে রীতিমতো বিস্মিত হতে হয়। গবেষণা করে তিনি চিহ্নিত করেছেন এমন কয়েকটি পেশা যেগুলো তার ধারণা মতে রীতিমত হুমকির মুখে রয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে এসব পেশাকে নিরাপদই মনে হচ্ছে।
পুগলিয়ানোর মতে, প্রযুক্তির কারণে ক্ষতির মুখে পড়বে এমন কয়েকটি পেশা হলো :
চিকিৎসা পেশা একটি সেবামূলক পেশা। এটাও ঠিক যে চিকিৎসকদের চাহিদা সবসময় রয়েছে এবং থাকবে। পুগলিয়ানো বিশ্বাস করেন যে, এই চিকিৎসা খাতে কিছু কিছু স্থানে লোকবল হুমকির মুখে পড়বে প্রযুক্তির কারণে। কারণ হলো রোগ চিহ্নিত করণে প্রযুক্তির দাপট আরও কয়েকগুণ বাড়বে সামনের দিনগুলোতে। সেই সঙ্গে হুমকিও বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন।
পুগলিয়ানোর ধারণা মতে, ডকুমেন্ট প্রসেসিং বা নিয়মিত কাজের জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজন হবে স্বল্প আইনজীবী বা সলিসিটরের। বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের খুব বেশি প্রয়োজন হবেনা কম্পিউটার সফটওয়্যারের কারণে।
ভবনের নকশা তৈরির কাজ করেন স্থপতি সেটি আমাদের সকলের জানা। কিন্তু এই কাজ এখন সফটওয়্যার নিজেই সক্ষম হয়ে উঠেছে। তাই ভবিষ্যতে এটি আরও জোরদার হবে। একমাত্র সৃষ্টিশীল স্থপতিরা হয়তো তখন কিছু একটা করে খেতে পারবেন।
ভবিষ্যতে ট্যাক্সের জটিল সব হিসাব-নিকাশের জন্য ভবিষ্যতে আর হিসাবরক্ষকের কোনো প্রয়োজন হবে না। কেনোই বা প্রয়োজন হবে? চাহিদাই তো কমে যাবে তখন। কারণ হলো এই কাজগুলো তো করবে কম্পিউটার কিংবা সফটওয়্যার।
বর্তমানে বড় যুদ্ধগুলোর খবরে প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে, পাইলট বিহীন যুদ্ধবিমানের নানা তৎপরতার কথা। ড্রোন এখন সবার কাছেই সুপরিচিত একটি বিষয়। ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক লড়াইয়ে পাইলটবিহীন বিমান হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে। যুদ্ধ বিমানের ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে এটি আরও বিস্তৃত হবে হলে মনে করা হচ্ছে।
নিয়মিত নজরদারি বা তদন্তের জন্য বর্তমানে পুলিশ সদস্যের বদলে স্থান করে নিতে শুরু করেছে আধুনিক প্রযুক্তিগত নানা পদ্ধতি। যদিও পুলিশ বা গোয়েন্দা কখনই একেবারে বিলুপ্ত হবে না, তবে তাদের চাহিদা দিন দিন কমতেই থাকবে। কারণ হলো তাদের এই কাজটি করে দিবে যন্ত্র।
বর্তমানে খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে ওয়েবসাইট। এটির মাধ্যমেই বর্তমানে সংযুক্ত হচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই। তাহলে এজেন্ট কিংবা প্রতিনিধির কী কোনো প্রয়োজন রয়েছে? ভবন বা ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয়ে এজেন্ট এখন আর কার্যকর কিছু নয়। আগামী দিনগুলোতে এটি হারিয়েই যাবে বলে মনে করছেন গবেষক পুগলিয়ানো।
This post was last modified on জানুয়ারী ১৪, ২০২০ 3:15 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…