দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি বর্তমানে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে গেলে জিনিসপত্র ক্রয়ের পর রশিদ দেয়। কিন্তু দোকানের ওই ক্রয় রশিদে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে সেটি আমাদের অনেকের জানা নেই।
আমরা জানি বর্তমানে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে গেলে জিনিসপত্র ক্রয়ের পর রশিদ দেয়। কিন্তু দোকানের ওই ক্রয় রশিদে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে সেটি আমাদের অনেকের জানা নেই।
বর্তমানে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে আধুনিক অনেক ব্যবস্থা প্রবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গুলোতে প্রিন্টেড রশিদ দেওয়া হয়। তবে বিজ্ঞানীরা প্রায় সব ধরনের প্রিন্টেড রশিদে ক্ষতিকর রাসায়নিক পেয়েছেন।
মিশিগান ইকোলজি সেন্টারের নতুন একটি গবেষণার পর বলা হয়েছে, প্রিন্টেড রশিদে এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে, যা মানুষের হরমোন পরিবর্তন ও গর্ভের ক্ষতিও করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দোকানের প্রিন্টেড রশিদ নিয়ে গবেষণার পর এই ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি পাওয়া যায়।
গবেষকরা বলেছেন, দোকানের যেসব কর্মীরা নিয়মিত রশিদ বা থার্মাল পেপার নিয়ে কাজ করে থাকেন, তারাও রয়েছেন উচ্চ ঝুঁকিতে। গবেষকরা বলেছেন, রশিদের মুদ্রিত অংশ স্পর্শের মাধ্যমে বিদ্যমান ক্ষতিকর রাসায়নিক ত্বকে প্রবেশ করে।
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা হতে সংগ্রহ করা প্রায় ২০৪টি রশিদের ওপর পরিচালিত হয় এই গবেষণাটি। বলা হয়েছে, ওইসব রশিদের কাগজে ক্ষতিকর রাসায়নিক হিসেবে বিপিএ বা বিপিএস পাওয়া গেছে। সাধারণ মানুষদের তুলনায় দোকানের ক্যাশিয়ারদের কাজের শিফট শেষে মূত্র ও রক্ত পরীক্ষায় বিপিএ এবং বিপিএস উচ্চ মাত্রায় দেখা যায়। গবেষণায় সংগৃহীত রশিদে ৭৫ শতাংশ বিপিএস ও ১৮ শতাংশ বিপিএ লক্ষ্য করা গেছে বলে জানান গবেষকরা।
এই গবেষণা দলের প্রধান গবেষক বলেছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ধরনের কাগজ ব্যবহার না করে রাসায়নিকমুক্ত নতুন ধরনের প্রিন্টিং কাগজ ব্যবহার করা উচিত।
গবেষকরা প্রিন্টেড রশিদের পরিবর্তে ই-মেইল রশিদ ব্যবহার বৃদ্ধিরও পরামর্শ দিয়েছেন। প্রিন্টেড রশিদ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস পরা, রশিদ ধরার পর হাত ধুয়ে ফেলা কিংবা সরাসরি রশিদের মুদ্রিত অংশ না ধরে তা ভাঁজ করে ধরার পরামর্শও দিয়েছেন গবেষকরা।