দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখনও কখনও কিছু রোগ রয়েছে যা আমাদের ধারণার একেবারেই বাইরে থাকে। যেমন এই বালকের ক্ষেত্রে ঘটেছে। পায়ে কিডনি নিয়ে এক বিরল রোগে ভুগছেন এই বালক!
কখনও কখনও কিছু রোগ রয়েছে যা আমাদের ধারণার একেবারেই বাইরে থাকে। আমাদের চিন্তায় ফেলে দেয়। আশ্চর্যও হতে হয় মাঝে মধ্যেই। পৃথিবীতে নিয়মের মধ্যেও কিছু অনিয়মের ঘটনা আমাদের বিস্মিত করে, যেমন এই বালকের ক্ষেত্রে ঘটেছে। পায়ে কিডনি নিয়ে এক বিরল রোগে ভুগছেন এই বালক! পায়ে কিডনি নিয়ে ভোগা এই বিরল ঘটনা নেট দুনিয়ায় মানুষদের মধ্যে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
এই বালনের এমন একটি রোগ যাতে তার কিডনির অবস্থান পায়ে! এমনই বিরল একটি রোগে ভুগছেন ইংল্যান্ডের হামিশ রবিনসন নামে ১০ বছর বয়সী এক বালক। জীনগত কোনও সমস্যার কারণেই এই রোগটি দেখা দিয়েছে বলে এমন মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হামিশই হয়তো একমাত্র মানুষ যার দেহে একটি নির্দিষ্ট ক্রোমোজোমই নেই। 7p22.1 নামে ক্রোমোজোমের অভাবের কারণে হওয়া এই বিরল রোগটির নাম তাই চিকিৎসকরা দিয়েছেন ‘হামিশ সিনড্রোম’। এই রোগে শরীরের কোনও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সঠিক স্থানে না থেকে অন্য কোনো স্থানে থাকতে পারে।
হামিশের ক্ষেত্রেও এমন ব্যতিক্রম ঘটেছে। তার শরীরে কিডনির অবস্থান দেখা যাচ্ছে ডান দিকের থাইয়ের ঠিক উপরের দিকে। এই ধরনের ঘটনা আজ অবধি চিকিৎসা ক্ষেত্রে কখনও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন হামিশের চিকিৎসকরা।
আনন্দবাজার পত্রিকা সূত্রে বলা হয়েছে যে, নির্দিষ্ট একটি সময়ের প্রায় ৬ সপ্তাহ পূর্বেই ভূমিষ্ঠ হন এই বালক হামিশ। জন্মের সময় হাশিমের ওজন ছিল মাত্র ২ পাউন্ড অর্থাৎ ৯০০ গ্রাম। তাছাড়া হামিশের কথা বলতেও সমস্যা হয় বলে জানিয়েছেন তার মা।
হামিশের মা আরও জানিয়েছেন যে, ১৭ মাস বয়সে হামিশ প্রথম যে শব্দটি উচ্চারণ করেছিলো তা ছিল ‘মাম্মি’। এরপর অন্তত আরও ৬ বছর হামিশের মা’কে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তার থেকে অন্য কোনও কথা শোনার জন্য।
তবে শারীরিক সমস্যা আটকে রাখতে পারেনি হামিশকে। হামিশ নিয়মিত স্কুলে যায় সে। হামিশ ভর্তি হয়েছে ক্যারাটে ক্লাসেও। তিনি নিজে তো বটেই, হামিশের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তাকে নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত বলে জানান হামিশের মা।