দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখনও কী ফিরিয়ে আনা যাবে সেই দৈত্যাকার ডাইনোসরদের? আবারও কী ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে ‘জুরাসিক পার্ক’-এর সেই দিনগুলো? নানা প্রশ্ন এখন মানুষের মনে।
আসলেও কী পৃথিবীতে আবারও দাপিয়ে বেড়াবে সেইসব ভয়ঙ্কর মাংসাশী টিরানোসরারা? সেই সম্ভাবনা বা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে হালের দু’-একটি আবিষ্কারের মধ্যে। জুরাসিক যুগের একটি গাছের কোটরে থাকা হলদেটে-বাদামি রঙের অ্যাম্বারের মধ্যে পাওয়া গেছে মশার জীবাশ্ম (ফসিল)। যার মধ্যে পাওয়া গেছে প্রাণ-সৃষ্টির প্রধানতম বীজ ডিএনএ। শুধু এটিই নয়, ডাইনোসরের জীবাশ্মে অন্যত্র হদিস মিলেছে রক্তনালী এবং কোলাজেন নামে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিনেরও। যে কারণে সেই কোটি কোটি বছর পূর্বে অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনা যাবে কি যাবে না, সেই কৌতূহলেরও জন্ম হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
তবে বলা যায় সেটি একেবারেই অসম্ভব, বিজ্ঞানীরা অবশ্য সে কথা বলছেন না। ‘আজগুবি’ বলে উড়িয়েও দিচ্ছেন না সেই সম্ভাবনা কিংবা আশঙ্কাকে। কারণ হলো বিবর্তনের নিয়মেই ডাইনোসররা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। তারপর বিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়েই উন্নততর প্রাণের জন্ম এবং বিকাশ হয়েছে এই পৃথিবীতে। তবে সেই বিবর্তনের রথের চাকার কোনও নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। এমন বলা যায় না যে, তা শুধু ডাইনোসর যুগ হতে মানবসভ্যতার দিকে বা তার চেয়ে উন্নততর কোনও প্রাণীর দিকে এটি এগিয়ে চলেছে।
ব্রিটেনের নর্দাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীনতত্ত্ববিদ জামাল নাসিরের বক্তব্য হলো, ‘এটি অসম্ভব নয়, কারণ বিবর্তন প্রক্রিয়ার কোনও সুনির্দিষ্ট দিকও নেই। এমন তো নয় যে, তা শুধুই সামনের দিকেই এগিয়ে যাবে। বলা যায় না যে, তা শুধু পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে গড়িয়ে চলেছে। আসলে কোন দিকে যাবে বিবর্তনের রথের চাকা, তা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে না। তার গতিপথ কোনোভাবেই পরিকল্পিত নয়। বরং তা ভীষণ পাগলাটে ধরনের। তাই জীবাশ্ম হতে ডাইনোসরদের পৃথিবীতে একেবারেই ফিরিয়ে আনা যাবে না, এটা আমি মনে করি না। সেই সম্ভাবনাটি একেবারে কমও নয়।’
নাসির এও বলেছেন, সেই ডাইনোসরদের ফিরে আসার জন্য যথাযথ পরিবেশেরও প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের জিনোমে আচমকা একটা বড়সড় রদবদল ঘটে গেলে সেটা সম্ভবও হয়ে যেতে পারে।
তবে জীনতত্ত্ববিদ জামাল নাসিরের ওই বক্তব্য অবশ্য মানতে রাজি নন লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের ভার্টিব্রেট প্যালিয়েন্টোলজিস্ট সুসি মেডমেন্ট। তিনি বলেছেন যে, ‘ঠিকই অ্যাম্বারের মধ্যে ডাইনোসর যুগের মশার জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। তবে সেখানে মশার জীবন্ত কলার কোনো সন্ধান মেলেনি। যে কারণে সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে, দেখাই যায়নি। তাই সেখান থেকে ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
যদিও অন্যত্র ডাইনোসরের জীবাশ্মে রক্তনালী ও কোলাজেন প্রোটিন মিলেছে। তবে সেখানেও ডাইনোসরদের আদতে ডিএনএ পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য হলো, কোলাজেন তুলনায় বেশিদিন অবিকৃত থাকতে পারলেও ডিএনএ’র পক্ষে তা কখনও সম্ভব নয়। কিছুদিনের মধ্যেই ডিএনএ পানি ও সূর্যালোকে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়।
সুসি মেডমেন্ট বলছেন, ‘এখন পর্যন্ত যে কোনও প্রাণীর যে প্রাচীনতম ডিএনএ-র হদিস মিলেছে, তার বয়স হলো ১০ লাখ বছর। অথচ ডাইনোসররা অবলুপ্ত হয়ে গেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর পূর্বে। ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনতে গেলে ততোটা প্রাচীন ডিএনএ-র হদিস পেতে হবে আমাদের। তাহলে হয়তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বহু বহু কোটি বছর আগের হারিয়ে যাওয়া এই ভয়ংকর প্রাণী ডাইনোসরদের।’
This post was last modified on জানুয়ারী ৩১, ২০১৯ 2:14 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহ আবদুল করিম এবং হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখে নিজেদের দিকে তাকালে ‘লজ্জা’ পান বলে…