দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফুলকে বলা হয় সুন্দরের পূজারী। ফুল দেখলে মনটাই যেনো ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এই ভালো জিনিসটি কুগুণ থাকতে পারে তা কি কখনও ভাবা যায়! এবার এমন এক ফুলের খোঁজ পাওয়া গেছে যে ফুল ছুঁলেই সর্বনাশ হয়ে যাবে!
ফুলকে বলা হয় সুন্দরের পূজারী। ফুল দেখলে মনটাই যেনো ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এই ভালো জিনিসটি কুগুণ থাকতে পারে তা কি কখনও ভাবা যায়! এবার এমন এক ফুলের খোঁজ পাওয়া গেছে যে ফুল ছুঁলেই সর্বনাশ হয়ে যাবে!
কতোই না সুন্দর দেখতে ফুল! যেমন রং, তেমনই তার আকৃতি। গাছের ডালে ফুটে থাকা ফুল যেনো এক রঙিন হৃদয়। প্রেমিক হৃদয় তো সব সময় রঙিনই হয়। রঙিন ও সুন্দরতম আজকের এই ফুলটি দেখতে যতোই সুন্দর হোক না কেনো, এই ফুল কিন্তু এক সাংঘাতিক ফুল!
এই কথা শোনার পর হয়তো অনেকেরই মনে পড়ে যেতে যাবে সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘বিষফুল’-এর কথা। সেখানেও ‘ভারী সুন্দর হলদে কমলা ও বেগুনি রঙের ফুল’-এর সন্ধান পান গল্পের প্রধান চরিত্র জগন্নাথবাবু। ক্রমে ক্রমেই আবিষ্কৃত হতে থাকে ফুলটির সুন্দর চেহারার আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভয়ানক বিপদের কথা।
সত্যজিত রায়ের ‘বিষফুল’ নেহাতই একটি গল্প ছিলো। ‘এশিয়ান ব্লিডিং হার্ট’ নামে ওই ফুলের শরীরময় যেনো বিষের থলি! ছুঁলেই হয়ে যাবে সর্বনাশ। হয়তো মৃত্যু হবে না। তবে আপনাকে শয্যাশায়ী করে দিতেই পারে এই বিষধর ফুল! অ্যালার্জি হয়ে ক্রমেই শরীরময় লাল দাগে ভরে যেতে থাকবে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হবে। বমি বমি ভাব হবে। সব মিলিয়ে এই ফুল সত্যিই এক বিপজ্জনক ফুল!
তাই এই রক্তাক্ত হৃদয়টি গাছেই ঝুলে থাকুক। এতে হাত না দেওয়ায় হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কখনও সামনাসামনি ‘হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে’ না চাওয়াতেই হবে সকলের জন্য মঙ্গল।