দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালই (রবিবার) বিমানের জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে। তারপর বিমানটি নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালই (রবিবার) বিমানের জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে। তারপর বিমানটি নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী। পরে ওই ব্যক্তি মারা যায়।
রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সেনা স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে সন্দেহভাজন একজন ছিনতাইকারীকে আহতাবস্থায় আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক।
অভিযান সমাপ্ত হওয়ার পর সিভিল এভিয়েশন কার্যালয়ে এই বিষয়ে ব্রিফিং করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশনের নতুন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. নাইম হাসান।
রবিবার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে এই বিমানটি।
বিমানের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে ছিলো, তখন এক ব্যক্তি পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উড়োজাহাজটিকে জিম্মি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। জরুরি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি ঘিরে রাখেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
তারপর সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে বলে একটি সূত্রের খবরে বলা হয়। ছিনতাইচেষ্টাকারীর নাম মাহাদী। তবে তার প্রকৃত পরিচয় এখনও জানানো হয়নি।
তারপর বিমানবন্দরে যায় সোয়াত টিম এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনাস্থল হতে একাধিক সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ১৪২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ঢাকা হতে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাচ্ছিল।
বিমানটি জরুরি অবতরণ করে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে। তারপরই দ্রুত ফ্লাইটের সব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করে ও সেটি ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা।
বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র বলেছে, যাত্রীদের নামিয়ে আনলেও সাগর নামে একজন ক্রু ও ছিনতাইকারী বিমানটির ভেতরেই রয়ে যান।
বিমানটি বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। তাৎক্ষণিক সেখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয় বলে জানান বিমানবন্দরের জনৈক কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ।
পরে সেনা স্পেশাল ফোর্স ও নৌ কমোডর এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে নৌ কমোডর দলের অভিযানে সন্দেহভাজন ওই ছিনতাইকারীকে আহতাবস্থায় আটক করা হয় এবং এই সময় আহতাবস্থায় ক্রু সাগরকেও উদ্ধার করা হয়। তবে বিমানের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন