দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রিসের মধ্যভাগে এক অপূর্ব নিসর্গ হলো টিলা। এই টিলা স্থানীয় মানুষের কাছেও বড় আকর্ষণ। ছোট বয়স হতেই মানুষ সেখানকার টিলায় চড়তে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সুন্দর সম্পর্কও তৈরি হয়।
গ্রিসের মধ্যভাগে এক অপূর্ব নিসর্গ হলো টিলা। এই টিলা স্থানীয় মানুষের কাছেও বড় আকর্ষণ। ছোট বয়স হতেই মানুষ সেখানকার টিলায় চড়তে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সুন্দর সম্পর্কও তৈরি হয়।
গ্রিসের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে মেটেওরা-র এই জাদুময় টিলা। বিশেষ করে যারা পাহাড় চড়তে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই এলাকা যাকে বলা হয় স্বর্গরাজ্য! যেমন ভাঙ্গেলিস বাৎসিয়স নামে এক ব্যক্তি রয়েছেন। পাহাড়ের পাদদেশে কাসত্রাকি নামে ছোট্ট জনপদে তিনি বসবাস করেন।
ভাঙ্গেলিস বাৎসিয়স বলেছেন, ‘পাহাড় চড়াই আমার জীবন এবং সবকিছু। ঘুম হতে উঠে পাহা়ড় দেখে মনে হয়, তার উপর চড়তে হবেই! আর তাই এই জায়গাটি আমি খুব ভালোবাসি।’
আজকের কথা নয়, প্রায় ২ কোটি বছর পূর্বে সেখানে এক নদীর স্রোত হতে পাথর, বালু এবং কাদামাটি জমে এই টিলাগুলি সৃষ্টি হয়েছে।
আরিস্টিডিস মিত্রোনাৎসিয়স বহু বছর ধরেই মেটেওরায় পর্বতারোহীদের সঙ্ঘের সভাপতি ছিলেন। তিনি এখনও পাহাড়ে ওঠেন। প্রায়ই সেখানে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে তার দেখা হয়। ভাঙ্গেলিস বাৎসিয়স এবং তার বন্ধু ক্রিস্টস সুরভাকাস পাহাড়ে চড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ক্রিস্টস সুরভাকাস মেটেওরা-র প্রায় ৮০০ রুটের মধ্যে অন্যতম সুন্দরতম পথ বেয়ে উঠেছেন। প্রায় ২৫০ মিটার উঁচু এই টিলায় ওঠার সময় তারই বন্ধু নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখছিলেন তার।
ক্রিস্টস বলেন, ‘এটি যেনো এক মুক্তির স্বাদ। নিজেকে জানার, নিজের সীমারেখা জানা এবং তা অতিক্রম করার উপায়। প্রথাগত চিন্তাধারা হতে বেরিয়ে ভাবার পথ বের করা। অনেকটা যোগাসনের মতোই। আসনের কসরত করতে করতে আরামের জন্য চেষ্টা করা। পাহাড়ে চড়া ছাড়া জীবনের কথা যেনো ভাবতেই পারি না!’
পাহাড়ে ওঠা তাদের যেনো এক নেশা। ক্রিস্টস সুরভাকাস এবং ক্রিস্টস বাটালোইয়ানিস আগামী বছরগুলিতেও ঘনঘন এই চূড়াতেই উঠবেন, এমনটা ধরেই নেওয়া যায় নির্দিধায়।