দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হানিফ সংকেতের ইত্যাদি মানেই দর্শকদের এক নির্মল আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। হানিফ সংকেতের ইত্যাদি মানেই হলো বিনোদনের সঙ্গে অনেক কিছু শেখা। এবার হানিফ সংকেতের ইত্যাদি’র দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কুয়াকাটায়।
পটুয়াখালী জেলার এক নৈসর্গিক লীলাভূমি বা যাকে বলা যায় সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুয়াকাটা সৈকত দেশের অন্যতম নৈসর্গিক একটি স্থান। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এই সৈকত হতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এবার সেই নৈসর্গিক স্থানেই ধারণ করা হয়েছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র পরবর্তী পর্ব।
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, পর্যটনশিল্প সমৃদ্ধ ও প্রাচীন নিদর্শন সমৃদ্ধ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইত্যাদির নিয়মিত পর্বগুলো ধারণ করা হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক লীলাভূমি বা যাকে বলা যায় সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায়।
যখন যে স্থানে ইত্যাদির অনুষ্ঠান ধারণ করা হয় সেই স্থানটির বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করেই সেটও নির্মাণ করা হয়। যে কারণে দর্শকরা যেমন ওই স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেন, ঠিক তেমনি নিত্য-নতুন লোকেশনের কারণে প্রতিবারই সেট নির্মাণেও আসে যেনো বৈচিত্র্য।
এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। পেছনে সমুদ্র রেখে দু’পাশে অর্ধশতাধিক মাছ ধরার নৌকা রেখে বানানো হয়েছে ইত্যাদি’র সেট। কুয়াকাটার ঐতিহ্যের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখেই নির্মাণ করা আলোকিত মঞ্চে ধারণ করা হয়েছে এবারের ইত্যাদি’র পর্বটি।
দিনে-রাতে অনুষ্ঠান ধারণের যে প্রচলন ইত্যাদি শুরু করেছিল তার ধারাবাহিকতা দেখা যাবে এবারের পর্বটিতেও। সব সময় রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও কুয়াকাটার এই প্রাকৃতিক রূপ, সাগরের ফেনিল জলের ঢেউ, রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে সুন্দরবন, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারের মতো এখানেও গোধূলি লগ্নে ইত্যাদির ধারণ শুরু করা হয়।
আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অসংখ্য মানুষ আশপাশের গাছ এবং রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ইত্যাদি উপভোগ করেছেন বলেও জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদির এই পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ২৯ মার্চ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
উল্লেখ্য যে, বরাবরের মতোই এবারও অনুষ্ঠানটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন দেশের খ্যাতিমান উপস্থাপক হানিফ সংকেত। বরাবরের মতো এবারও নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।