The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

একজন ‘লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’র গল্প

দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করলেন, আজকের দিনটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার একটি দিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই মানুষ কখনও কখনও তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জিরো থেকে হিরো হয়ে উঠতে পারেন তার প্রমাণ আমরা আগেও অনেক পেয়েছি। এবারও পেলাম। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কথা বলা হচ্ছে। তিনি এখন ‘লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’।

একজন ‘লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’র গল্প 1

সত্যিই মানুষ তার কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়েই নিজের অস্তিত্বকে জানান দিতে পারেন। খুব সামান্য কিছু কাজের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে নজির সৃষ্টি করা যায় তার প্রমাণ আরেকবার রাখলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন।

ঠিক এমনই এক ঘটনা। টিভি পর্দায় তখন কোটি কোটি মানুষের চোখ। সংবাদ সম্মেলনে এলেন এক ভদ্রমহিলা। সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে বিবিসি, আল জাজিরার মতো সংবাদ মাধ্যমে। যারা চিনেন না তারা হয়তো তখনও বুঝতে পারেননি, তিনি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন। পাশে কোনো চেলা, চামুণ্ডার নাম গন্ধ নেই। একা একাই দীর্ঘক্ষণ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছেন। দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করলেন, আজকের দিনটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার একটি দিন।

আক্রান্ত মুসলিম সম্প্রদায়কে অভয় দিয়ে বললেন, তোমরাই আমরা। জাসিনদা আরডেনের সাদাসিধে চলাফেরা সেদিনই অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পশ্চিমা দুনিয়ার শাসকদের জন্য এটি অবশ্য ব্যতিক্রম কোনো ঘটনা নয়। তবে গত দু’সপ্তায় যা যা হলো তাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস পর্যন্ত আফসোস করে বলেছে, আমেরিকায় যদি এমন একজন আরডেন থাকতো!

গোটা পৃথিবী এমনিতেই খুব খারাপ একটা সময় অতিক্রম করছে। দেশে দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ক্ষমতাসীনদের উত্থান। ভোটের বাজিতে উত্‌রাতে উস্কে দেওয়া হচ্ছে ঘৃণা। আকাশে অকাতরে উড়ানো হচ্ছে বোমারু বিমান। এ যেনো সেই সময় যে সময়ের বয়ান দিতে গিয়ে কবি আল মাহমুদ লিখেছেন, ‘ভাবো, ইতিহাসের গতিরুদ্ধ। মানুষের আর কোনো ইতিহাস থাকবে না। পুঁজি থাকবে, সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ববিচরণশীল লুণ্ঠন থাকবে, তবে না বলার মতো কোনো দেশ থাকবে না। কেবল মহাকাশব্যাপী ঈগলখচিত বোমারু বিমানগুলো উড়বে- তবে মাটি, পাহাড় বা সাগর থাকবে না।’

একজন ‘লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’র গল্প 2

সেই এমন একটি সময় দাঁড়িয়ে দুনিয়াতে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন আরডেন। ৩৮ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী উত্‌রে গেলেন তার জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষায়। এমন পরীক্ষার টেবিলে নিউজিল্যান্ডের আগের কোনো প্রধানমন্ত্রীকে বসতেই হয়নি। এমনিতে নিউজিল্যান্ড শান্তির দেশ হিসেবেই অধীক পরিচিত। কোনো রকম খুন-খারাবি নেই বললেই চলে। সেখানে এক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী চরম ঘৃণা নিয়ে হামলা চালালো মসজিদে। হত্যা করলো ৫০ মুসল্লিকে। এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সারা দুনিয়া জুড়ে। তবে ঘটনাটি যে হঠাৎ করেই ঘটেনি তা বহু পর্যবেক্ষক স্বীকার করেছেন। পশ্চিমা রাজনীতিবিদ এবং গণমাধ্যমের একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে এই ঘৃণা ছড়িয়ে আসছে। ইসলামভীতি তৈরিতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে আসছে পশ্চিমা গণমাধ্যমও।

তবে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর এটি আবার সামনে নিয়ে আসে যে সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই, জাতও নেই। নিউজিল্যান্ড, এই দেশটির জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী তামাম দুনিয়ার সামনে নজির হাজির করেন- কেবলমাত্র ভালোবাসা দিয়েই পরাজিত করা সম্ভব এমন ঘৃণাকে। তারা সবাই মুসলমানদের পাশে এসে দাঁড়ান। তাদের অভয়ও দেন। সংহতিও প্রকাশ করেন। হিজাব পরে আরডেন ও তার দেশের নারীরা বার্তা দিয়েছেন মুসলিম নারীদের। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য- তাহার উপরে নাই’- সেই চিরায়ত উচ্চারণ দীপ্তকণ্ঠে ফিরে আসে আরডেনের মুখেও!

মুহূর্তেই সারা দুনিয়ার মানুষের মন জয় করে নিলেন তিনি। আক্রান্ত নূর মসজিদের ইমাম যখন বললেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তখন গোটা বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। এটা শুধু নূর মসজিদের ইমামের কথাই নয়, এটা যেনো বর্তমানে সারা পৃথিবীর কথা। মুক্ত দুনিয়ার মানুষসহ রাজনীতিবিদরা আকুণ্ঠ প্রশংসায় মেতেছেন আরডেনের। বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমও এগিয়ে এই দৌড়ে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান হতে শুরু করে সারা পৃথিবীর সংবাদ মাধ্যমে এক প্রশংসিত নাম আরডেন। সবারই প্রশ্ন এমনও কী হয় নাকি! আরডেনের প্রশংসা করে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, আতঙ্ক কীভাবে সামাল দিতে হয় তা আরডেনের কাছ থেকেই শেখা উচিত বিশ্বের। অপরদিকে, গার্ডিয়ানে লেখা হয়েছে, একজন সত্যিকারের নেতা।

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড লিখেছে যে, মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর দেশকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার জন্য সারাবিশ্ব তার প্রশংসা করেছে। তার এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় তাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাতে করে একজন মুসলিম নারীকে তিনি আলিঙ্গন করছেন- এমন এক ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। মুসলিমদের প্রতি তিনি যে আন্তরিক সহানুভূতি এবং সমর্থন দেখিয়েছেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ। বলেছেন, এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলিমের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে আমিরাতের ‘সালাম’:

বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফায় ফুটিয়ে তোলা হলো জাসিনদা আরডেনকে। এতে দেখানো হয়, তিনি ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মুসলিম পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। হামলার পর মুসলিমদের প্রতি তিনি যে সমর্থন ও সম্মান দেখিয়েছেন তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করতে শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফায় তাকে ঠিক এভাবেই ফুটিয়ে তোলা হয়। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা যায়, ৮২৯ মিটার উঁচু বুর্জ খলিফার চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তারমধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই টাওয়ার। এর ঠিক উপরেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আরডেনকে। তিনি মাথায় স্কার্ফ পরা। মসজিদে হামলায় নিহতদের এক নারী স্বজনকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন তিনি। তার মাথার একটু উপরে আরবিতে লেখা ‘সালাম’ যার অর্থ হলো শান্তি। বুর্জ খলিফার এমন ছবি টুইট করেছেন সংযুুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ।

শেখ মোহাম্মদ শুক্রবার টুইটে লিখেছেন, মসজিদে হামলায় শহীদদের সম্মানে নিউজিল্যান্ড নীরব। সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে যেনো এক হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তারপর নিউজিল্যান্ড এবং এ দেশের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন যে আন্তরিক সহানুভূতি এবং সমর্থন দিয়েছেন তাতে ১৫০ কোটি মুসলিমের শ্রদ্ধা পেয়েছেন তিনি।

কে এই জাসিনদা আরডেন

নিউজিল্যান্ডের একদম প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে উঠে এসেছেন জাসিনদা আরডেন। ১৯৮০ সালের ২৬ জুলাই নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। মা ছিলেন একটি স্কুলের খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে। জাসিনদা মরিন্সভিল্লে কলেজে পড়াশোনা করেন। ২০০১ সালে তিনি ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয় হতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তারপর তিনি দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের অফিসে গবেষণা কাজে নিয়োজিত হন। তাছাড়া তিনি বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। রাজনীতির সঙ্গে এভাবেই যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবে তার ফুপি ম্যারি আরডেন লেবার পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় কিশোরী বয়স হতেই রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেন জাসিনদা আরডেন।

জাসিনদা আরডেন ২০০৮ সালে সমাজতান্ত্রিক তরুণদের আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ওই বছরই (২০০৮ সালে) তিনি প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বাম ঘরানার দল লেবার পার্টির একজন এমপি নির্বাচিত হন। এর ঠিক ১০ বছরের মধ্যেই নিজেকে তিনি লেবার পার্টির সবথেকে যোগ্য নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ২০১৭ সালের ১ মার্চ জাসিনদা আরডেন লেবার পার্টির ডেপুটি প্রধান নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১ আগস্ট তিনি লেবার পার্টির প্রধান নেতাও নির্বাচিত হন। সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জাসিনদা আরডেন জোট গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হন। জাসিনদা আরডেন পার্টির প্রধান হওয়ার পূর্বে আন্ড্রু লিটল ছিলেন এই পদে। তার সময় লেবার পার্টির জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধসও নামে। যে কারণে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। দলের কঠিন সময় দলের হাল ধরে তাকে পুনরায় জনপ্রিয় করে তোলেন জাসিনদা আরডেন।

রাজনৈতিক নানা সমীকরণ মিলিয়ে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন জাসিনদা আরডেন। ক্ষমতায় বসেই তিনি ঘোষণা দেন যে, তার সরকার হবে শক্তিশালী এবং সংবেদনশীল। ক্ষমতায় বসার কিছুদিন পরেই গর্ভবতী হন জাসিনদা আরডেন। তবে সেজন্য তিনি দায়িত্বে গাফিলতি করেননি মোটেও। গর্ভবতী অবস্থায়ই তিনি ইউরোপ সফর করেন, রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন খুব সফলভাবে। শেষদিকে মাত্র ৬ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন আরডেন। ২০১৮ সালে ‘ফোর্বসের পাওয়ার উইমেনের’ তালিকায় জায়গা করে নেন জাসিনদা আরডেন। রয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকাতেও। জলবায়ু পরিবর্তন, শিশু দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করছেন জাসিনদা আরডেন। নিজ দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একট সহানুভূতিশীল সরকার। যার সুফলও পেয়েছেন দেশটির নাগরিকরা। এভাবেই জনপ্রিয় নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন জাসিনদা আরডেন। আর সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের মসজিদে বোমা হামলার পর তাঁর বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত এবং সবদিক ঠিক রেখে তিনি যেভাবে মুসলমান কমিউনিটির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন যে শেষ পর্যন্ত তিনি এখন একজন ‘লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’র মর্যাদায় আসীন হয়েছেন। যা অর্থ এমনকি বহু বছর রাজনীতি করেও পাওয়া সম্ভব নয়।

দেখুন তার একটি ভিডিও

https://www.youtube.com/watch?v=Dj1IfvAA8go

Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali