দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। আহতরা কুর্মিটোলা, সিএমএইচ, ঢামেক, সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ ও ই্উনাইটেড মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশংকা জনক। তবে বাকিরা বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে। স্বজনদের আহাজারি ছিলো সারারাতই। বিভিন্ন হাসপাতালে স্বজনদের ছুটাছুটি লক্ষ করা গেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনেও ছিলো স্বজনদের হৃদয় বিদারক আহাজারি। এভাবেই গেছে গতকাল ২৮ মার্চের ভয়াবহতা।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভবনটির ৭ বা ৯ তলা হতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। পরে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনটিতে।
ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট কাজ করে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেনাবাহিনী বিমান বাহিনীও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলো। এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন হতে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিটও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। এখনও উদ্ধার কাজ চলে। তারপর শুরু হয় নিহতদের উদ্ধারের কাজ। একে একে বেরিয়ে আসে ২১টি লাশ। আগের ৪টি মিলিয়ে বর্তমানে সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে মোট ২৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে।
এদিকে গণপূর্ত মন্ত্রী জানিয়েছেন এই ভননটি প্রকৃতপক্ষে ১৮ তালার অনুমোদন ছিলো। ১৮ তালার অনুমোদন নিয়ে ২৩ তালা করা হয়েছে বেআইনীভাবে।