দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তর্জনী উচিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আর যদি একটি গুলি চলে…, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে সেই তর্জনীর প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা ‘তর্জনী’।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তর্জনী উচিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আর যদি একটি গুলি চলে…, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে সেই তর্জনীর প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা ‘তর্জনী’।
জানা গেছে, এই ‘তর্জনী’ সিমেনাটি নির্মাণ করবেন সোহেল রানা বয়াতী। চলতি বছরের ১ মে এই ছবির শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে সিনেমাটির ফার্স্ট কনসেপ্ট পোস্টার বা প্রথম ধারণাগত পোস্টার। ‘তর্জনী’ চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন যৌথভাবে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতী এবং শাহাদাত রাসেল। এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছে শিমুল খান মোশন পিকচার্স।
সিনেমাটির প্রযোজক শিমুল খান এই বিষয়ে বলেছেন, ‘আমার মা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন ভক্ত। মাকে দেখেই ছোটবেলা থেকে জাতির পিতার প্রতি আমার গভীর সম্মান জন্মেছে এবং তাঁকে নিয়ে কিছু করার ইচ্ছেও জাগে। সেই সুযোগ এবার আমি পেলাম।’
‘তর্জনী’ সম্পর্কে শিমুল খান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি নির্মিত হতে চলেছে। তবে এই সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর বা ৭ই মার্চের ভাষণ সরাসরি দেখানো হবে না। সিনেমাটি ১৯৭১, ১৯৭৫ এবং ২০১৭ সালের ৩টি গল্প এগিয়ে যাবে প্রথম থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত। যার মূল চরিত্রে থাকবেন ১০ বছরের একটি শিশু। খুব শীঘ্রই সিনেমাটির অভিনয়শিল্পীদের নামও ঘোষণা করা হবে।’
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে পৃথক ৩টি জেলায় ৩ লটে শুটিং চলবে ‘তর্জনী’র। ২০২০ সালের ৭ই মার্চ দেশে ও বিদেশে একযোগে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বিষয়ে তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতী বলেছেন, ‘এটি আমার নতুন কাজ। আমরা সকলেই জানি যে, বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর বলিষ্ট নেতৃত্ব এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল এই জাতির মুক্তির দিশা। যখনই সেই কণ্ঠ শুনি মনের মধ্যে আমার কেমন যেনো একটা অনুভুতি কাজ করে। তাই অনেকদিন থেকেই এই মহান নেতাকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল আমার। এবার সেই সুযোগ এসেছে। আমি সাহস নিয়েই কাজটি করতে চাই।’