দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হয়ে নিজের ‘সিঙ্গেল’ জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন টালিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার। জানালেন ৪২ বছর বয়সেও তার অবিবাহিত থাকার প্রকৃত কারণ।
টালিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার ‘প্রেম আমার’, ‘লে ছক্কা’ থেকে ‘বোঝে না সে বোঝে না’র মতো অনেক ব্লকবাস্টার সিনেমাত উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই অভিনেত্রীর ‘আবার অরণ্যের দিনরাত্রি’ সিনেমাটি।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, অভিনেত্রী পায়েলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। তবে সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। এই বিষয়ে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে পায়েল জানিয়েছেন, অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি এখনও কেনো সিঙ্গেল রয়েছি। আসলে বাঙালি পরিবারে মেয়ের বাবারা অনেকটা পজেসিভ।
ওই সময় পায়েলকে মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে সৌরভ জানতে চান, ‘তাহলে বলছো তুমি ‘সিঙ্গেল’ রয়েছো বাবা-মায়ের জন্য’? সম্মতি জানিয়ে অভিনেত্রী যোগ করেন,‘যেমন ধরো মনের মতো ছেলে খুঁজে পাওয়া কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন বাবা-মায়ের মনের মতো ছেলে খুঁজে নেওয়া। আমার কথা ছেড়ে দাও, বাবা-মায়ের মনের মতো ছেলেও খুঁজে পাচ্ছি না আমি।’
কোনোদিনই রাজের সঙ্গে প্রেমের কথা খোলাখুলি পায়েল স্বীকার করেননি। তবে এই সম্পর্ক ছিল ইন্ডাস্ট্রির যেনো ওপেন সিক্রেট। সম্পর্ক ভাঙার পর পায়েল বলেছেন, জীবন নিয়ে দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গি পৃথক, এই প্রেম নাকি মোটেও পূর্ণতা পাওয়ার ছিল না।
পায়েলকে পরবর্তীতে দেখা যাবে শাকিব খানের ‘দরদ’ সিনেমাতে। যেখানে তারসঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার করেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org