দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাখাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৩৩ জন প্রার্থী লড়ছেন।
গতকাল (১৭ এপ্রিল) ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সাধারণ সদস্যের মধ্যে ৬ জন, সহযোগী ১ জন এবং অ্যাফিলিয়েট ১ জনসহ মোট ৮ জন সদস্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। অর্থাৎ মোট ৩৩ জন প্রার্থী লড়ছেন এবারের নির্বাচনে।
জানা গেছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে সাধারণ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন- এম আসিফ রহমান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, মুহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মুহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিকী, লিয়াকত হোসাইন, উত্তম কুমার পাল, মীর শাহরুখ ইসলাম, সৈয়দা নাফিজা রেজা, এ এস এম রফিক উল্লাহ, ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, ইমরান হোসেন, তৌফিকুল করিম সুহৃদ, মুস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক, মো. শফিউল আলম, মঞ্জুরুল আলম মামুন, সৈয়দা নওশাদ জাহান প্রমি, নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, কে এ এম রাশেদুল মজিদ, দিদারুল আলম, মো. শহিবুর রহমান খান রানা, ফারজানা কবির ইশিতা, রাশিদুল হাসান, রাসেল টি আহমেদ এবং একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
সহযোগী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ, আরমান আহমেদ খান এবং এন এম রাফসান জনি সামীর।
অ্যাফিলিয়েট সদস্যের বৈধ মনোনয়নপত্রের এই তালিকায় রয়েছেন লুৎফি হায়দার চৌধুরী, বিপ্লব ঘোষ রাহুল এবং আব্দুল আজিজ।
এই তালিকার আন্তর্জাতিক সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আবু মুহাম্মদ রাশেদ মুজিব নোমান, এ এইচ এম হসিনুল কুদ্দুস (রুশো) ও সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
এবারের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বৈধ মনোনয়নপত্র তালিকা প্রকাশ করা হয়। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বিকেল ৪টার মধ্যে প্রত্যাহার করেছেন ৮ জন সদস্য। আগামী ২০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
আগামী ৮ মে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে বেসিস নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন শেষে সেদিনই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বেসিসের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৪ জন। এদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ এবং আন্তর্জাতিক সদস্য ভোটার ৯ জন। বেসিসের মোট সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ৪০১ জন।
বেসিস সচিবালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, বেসিসের নির্বাচন পরিচালনার জন্য টি আই এম নুরুল কবীরকে চেয়ারম্যান এবং সৈয়দ মামনুন কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী সদস্য করে ৩ সদস্যের নির্বাচন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনে ৩ সদস্যের আপিল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। আপিল বোর্ডে চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এবং সদস্য আবদুল্লাহ এইচ কাফি এবং নাজনীন কামাল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org