দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা এবং ৩টি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪শ’রও বেশি মানুষ। হতাহতের মধ্যে কেও বাংলাদেশী রয়েছে কিনা এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কলম্বো ন্যাশনাল হসপিটালের পরিচালক ডা. অনীল জয়সিংহের বরাত দিয়ে শ্রীলঙ্কার অন্যতম জাতীয় গণমাধ্যম কলম্বো টেলিগ্রাফ মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এই পর্যন্ত ৪০২ জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হতাহতদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক বিদেশী পর্যটক রয়েছেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এখনও হামলার দায় কেও স্বীকার করেনি। বিস্ফোরণের ধরণ সম্পর্কেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, রাজধানী কলম্বোর সেইন্ট অ্যানথনি’স উপাসনালয়ে রবিবার সকালে প্রার্থনার অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে অর্ধশতাধিক মানুষকে কলম্বোর প্রধান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে ওই গির্জাতেই। এরপরই একে একে অন্য লক্ষ্যবস্তুগুলোতেও বিস্ফোরণ হয়।
কলম্বো টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, সাড়ে ৮টা হতে ৯টার মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তীব্র বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনসহ পুরো এলাকা কেঁপে উঠে। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ বোম্ব স্কোয়াড।
রাজধানীর কোচচিকাড়ে এলাকার সেইন্ট অ্যানথনি’স ছাড়াও কলম্বোর উত্তরে অবস্থিত নেগম্বোর কাটুয়াপিতিয়া এলাকার সেইন্ট সেবাস্টিয়ান’স চার্চ ও রাজধানীর উত্তরে অবস্থিত বাটিকালোয়া শহরের আরেকটি উপাসনালয়েও ইস্টার সানডে উপলক্ষে আয়োজিত প্রার্থনা অনুষ্ঠানে কাছাকাছি সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির প্রেসিডেন্ট সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন। বিমান বন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।