দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই তো ধনী হন। এদের মধ্যে একদল মানুষ রয়েছেন যারা সারা জীবন পরিশ্রম করে শূন্য থেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। আবার অনেকেই আছে কোনো পরিশ্রম ছাড়াই ধনী হয়েছেন।
টাকা পয়সা অনেকের রয়েছে। একদল মানুষ রয়েছেন যারা সারা জীবন পরিশ্রম করে শূন্য থেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যেমন জেফ বেজোস বা বিল গেটস এর মতো শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরা শুধুমাত্র নিজেদের প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছেন। আবার আরেক দল রয়েছেন যাদের ধনী হতে পরিশ্রমের কোনো প্রয়োজনই পড়েনি। ধনী পরিবারে জন্মেই তারা হয়ে গেছেন অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক। চলুন জেনে নিই এমনই কিছু শীর্ষ ধনীর কথা।
ফ্রাসোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ারস
ব্লুমবার্গ ম্যাগাজিনের তথ্য মতে, ফ্রাসোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ারস বর্তমান বিশ্বের একজন শীর্ষ ধনী নারী। এজন্য অবশ্য তাকে কোনো রকম কষ্টই করতে হয়নি। তার দাদা ইউজনি স্কুলার ১৯০৭ সালে প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান ল’রিয়েল গড়ে তোলেন। তিনি তার পুরো সাম্রাজ্য বেটেনকোর্টের মা লিলিয়ানকে দিয়ে যান। ২০১৭ সালে যখন লিলিয়ান মারা যান তখন ল’রিয়েল এর ৩৩ শতাংশ শেয়ারের উত্তরাধিকারী হয়ে যান বেটেনকোর্ট। বলতে গেলে, কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই ৪৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন এই নারী।
স্যাম ব্রানসন
স্যাম ব্রানসন হলেন ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্রানসনের পুত্র। রিচার্ডকে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছাতে হলেও তার পুত্র স্যামকে মোটেই তা করতে হচ্ছে না। কোনো পরিশ্রম ছাড়াই বাবার কাছ থেকে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে বোন হলি ব্রানসনের সঙ্গে মিলে বাবার প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করছেন স্যাম ব্রানসন।
ডগলাস ডার্স্ট
ডগলাস ডার্স্ট এর বিষয়টিও তেমনই। ভাগ্যের সন্ধানে মার্কিন মুলুকে এসে ডার্স্ট অরগানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জোসেফ ডার্স্ট। ১৯১৫ সালে গড়ে তোলা ছোট্ট সেই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পোর্টফোলিও নিয়ন্ত্রণ করছে। জোসেফ ডার্স্টের হাতে তিল তিল করে গড়ে ওঠা ডার্স্ট অরগানাইজেশনের নিয়ন্ত্রণ এখন তার নাতি ডগলাস ডার্স্টের হাতেই। দাদার বদৌলতে ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হয়েছেন ডগলাস ডার্স্ট।
রোনাল্ড লডার
রোনাল্ড লডারের ঘটনাটিও অনেকটা এমনই। একটি প্রশাধনী এবং সুগন্ধি সম্রাট ইস্টি লডার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইস্টি লডার কোম্পানিস। বলাই বাহুল্য যে, এর পেছনে তাকে অনেক পরিশ্রমও করতে হয়েছিল। তবে তার ছেলে রোনাল্ড লডারকে একেবারেই কষ্ট করতে হচ্ছে না। বাবার তিল তিল করে বানানো সাম্রাজ্য হতে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন রোনাল্ড লডার।
পেট্রা এক্লেসটোন
ফরমুলা ওয়ান রেসিং-এর সিইও বার্নি এক্লেসটোনের মেয়ে পেট্রা এক্লেসটোন। বাবার কাছ থেকে তার প্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। তাই তিনিও পরিশ্রম ছাড়াই হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক!
জ্যারেড কুশনার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা হিসেবে জ্যারেড কুশনারকে সারা বিশ্বই চেনে। তবে এর বাইরেও তার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনী একটি পরিবারের সন্তান। তার বাবা চার্লস কুশনার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান কুশনার কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। এই কোম্পানিটির বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার কাছ থেকে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার পেয়েছেন জ্যারেড কুশনার।