দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তীব্র তাপদাহে তৃষ্টা মিটাতে ডাবগাছে উঠেছিলেন আনন্দ নামে এক চোর। তবে এর পরিনামটা মোটেও আনন্দজনক হয়নি তার। বরং ঘটেছে তুলকালাম কাণ্ড। শেষ পর্যন্ত তাকে নামালো তিন বাহিনীর লোকজন!
তৃষ্ণা মেটানোর জন্য প্রায় ২’শ ফুট লম্বা নারকেল গাছে উঠে মরতে বসেছিলেন আনন্দ কুমার দাস নামে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। গাছে উঠে আর তিনি নামতে পারছিলেন না। তবে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্থানীয়দের কয়েক ঘণ্টা চেষ্টায় প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরের দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা সদরে ঘটে এমন এক ঘটনা। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত হতে বেঁচে যাওয়া আনন্দ কুমার দাস কুলিয়ারচর উপজেলার দাস পাড়া গ্রামের নিতাই কুমার দাসের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চুরি করে ডাব খাওয়ার ফন্দি করেন আনন্দ। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুলিয়ারচর সদরে অবস্থিত কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ক্যাম্পাসের একটি লম্বা নারকেল গাছ থেকে ডাব পাড়তে যান তিনি। গাছে উঠে কয়েকটি ডাব ছিঁড়ে নামতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যান। লম্বা গাছে উঠার পর তার শরীর ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাই নিচে নামার সাহস এবং শক্তি ছিলনা তার শরীরে। তিনি আটকে পড়েন নারকেল পাতার গোড়ায়!
খবর পেয়ে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বড় মইয়ের সাহায্যে তাকে জীবিত অবস্থায় নারিকেলগাছ হতে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
কুলিয়ারচর থানার ওসি আবদুল হাই তালুকদার বলেছেন, আনন্দ স্বীকার করেছেন ডাব চুরির কথা।
তিনি আরও বলেছেন, প্রচণ্ড গরম লাগায় নারিকেলগাছ থেকে ডাব পাড়তে গিয়ে তিনি আর নামার সাহসই পাচ্ছিলেন না। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
কুলিয়ারচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আবুল কালাম জানান, ‘নারিকেল গাছে কেও আটকা পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম। আমারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ২’শ ফুট ওপর হতে নামানোর মতো আমাদের কোন লেডার নেই। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের মই দিয়ে এবং আমাদের লম্বা রশির সাহায্যে তাকে নিরাপদে নামিয়ে আনি।’