দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করে বলেন যে, তার সঙ্গে তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক নাকি গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। মোদীর এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘যাকে নেওয়ার নিয়ে নাও। আমার একজন গেলে আমি একলক্ষ লিডার তৈরি করি।’’
এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য মোদীর প্রার্থী পদ বাতিলেরও দাবি তুলেছেন এই তৃণমূলনেত্রী। এদিন ভদ্রেশ্বরে নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, ‘‘সাংবিধানিক পদে হতে এমন কথা বলা যায় না। আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।’’এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূলের দাবি করেছে যে, কমিশনের উচিত মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা সোমবার টুইট করে একে বিজেপির রাজনৈতিক ‘দেউলিয়াপনা’র কথা বলেছিলেন। এ দিন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব মোদীকে‘৭২ বছরের জন্যনিষিদ্ধ’ করা উচিত বলে টুইটে উল্লেখ করেন।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও মোদীর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘এমন কথা বলে তিনি মূলত বিধিভঙ্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কী ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন, কমিশনের তা খতিয়ে দেখা উচিত।’’ সব মিলিয়ে বিষয়টি জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যের ছবি স্পষ্ট করছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই ধরনের বেশ বাক্য বিনিময় হচ্ছে।