দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্যারাবিয়ান দেশ বাহামাসের ব্যক্তিগত এক দ্বীপ বিক্রি হবে। সবুজে ঘেরা সেই দ্বীপে রয়েছে চোখ ধাঁধানো এক সৈকত। আজ রয়েছে ৭১৩ কোটি টাকার এই দ্বীপ-ভিলার কাহিনী!
এই ভিলায় প্রধান ভবনে শো’বার ঘর রয়েছে ৯টি এবং সমান সংখ্যক বাথরুমও রয়েছে। ১১৪ বিঘা বিস্তৃত সেই দ্বীপে ছোটবড় আরও বেশ কয়েকটি ভবনও রয়েছে। সারাজীবনের জন্য সেই দ্বীপ কিনে নিতে হলে গুণতে হবে ৭১৩ কোটি ৭ লাখ টাকা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সেই দ্বীপে নৌবিমান চলাচলের সুবিধাও রয়েছে। ফ্লোরিডার মিয়ামি শহর হতে প্রতিদিন ১০টি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সেখানে যাতায়াত করে থাকে।
তাছাড়াও ছোট ছোট নৌকা ভেড়ার জন্য ঘাটও তৈরি করা রয়েছে সেখানে। সেখানকার প্রধান ভবনের শো’বার ঘরগুলো অত্যাধুনিক, বাথরুমগুলোও অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
ভবনের ভেতরে বসেই সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। সমুদ্রের পানির ওপর বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যথেষ্ট জায়গাও তৈরি করা রয়েছে সেখানে।
সেখানকার কর্মচারীদের থাকার জন্য মূল ভবনের বাইরে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ভবনও রয়েছে। সমুদ্রের ধার ঘেঁষে রয়েছে সুইমিংপুলও। চাইলেই জলকেলিও করতে পারবেন সেখানকার বাসিন্দারা।
দ্বীপটির মালিক নাইট ফ্রাঙ্ক আজীবন মেয়াদে বিক্রির জন্য দ্বীপটির দাম হাঁকিয়েছেন ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। দামের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বলছে যে, সবুজে ঘেরা বিশাল এই দ্বীপে পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে সবকিছুই।
মূল ভবনের বাইরে ছোট ছোট ভবনে চাইলে অতিথি বা স্বজনরা থাকতেও পারবেন। সুইমিংপুল হতে শুরু করে নৌবিমান চলাচল ও খেয়াঘাটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এই দ্বীপটিতে। সবমিলিয়ে দ্বীপটি যিনি কিনবেন, তাকে ভাগ্যবান বলেই ধরে নেওয়া হবে।