দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুসলমানদের কাছে একটি মহিমান্বিত আত্মশুদ্ধির মাস হলো পবিত্র রমজান মাস। এই গরমে রোজার কষ্ট মূলত পানি তৃষ্ণায় হয়ে থাকে। গরমে রোজার কষ্ট হতে বাঁচবেন যেভাবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
মুসলমানদের কাছে একটি মহিমান্বিত আত্মশুদ্ধির মাস হলো পবিত্র রমজান মাস। এই গরমে রোজার কষ্ট মূলত পানি তৃষ্ণায় হয়ে থাকে। গরমে রোজার কষ্ট হতে বাঁচবেন যেভাবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
গরমে প্রচণ্ড তৃষ্ণাকে একদমই ভুলিয়ে দিতে খেতে পারেন ইসুপগুল-মিছরি শরবত, আখের গুড়ের শরবত বা ঘৃতকুমারির-তোকমারির শরবত। সেহরিতেও একগ্লাস শরবত আপনাকে সারাদিনে পানি পিপাসার কথা ভুলিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
ইফতারিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার অবশ্যই বর্জন করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি বিষয়। সারাদিন অভুক্ত পেটে এসব খারার গিয়ে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যতোদূর সম্ভব তেলচর্বি ও ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলাই ভালো। হালকা মিষ্টি কিংবা ঝাল জাতীয় রান্না খাবার হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ ইফতারি।
পানিশূন্যতা দুর করতে বেশি করে চিনির শরবত বা সফট ড্রিঙ্কসের ওপর নির্ভর না করাই ভালো। ঘরে তৈরি লেবু, বেল কিংবা অন্য কোনো শরবত খেতে পারেন। আম, তরমুজ, শশা, আনারসের জুসও খাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় লেবুর শরবত একদম খালি পেটে খাওয়া মোটেও উচিৎ নয়। সামান্য কিছু খেয়ে তবেই খেয়ে নিন প্রাণ চাঙা করার জন্য একগ্লাস লেবুর শরবত।
ইফতার ও সেহরিতে যথেষ্ট ফল ও শাক সবজি খেতে পারেন। তাজা শাক-সবজি, মাছ এবং ফল আপনার স্বাভাবিক হজমে দারুণভাবে সহায়তা করবে। এতে করে দেহের পানিশূন্যতা দূর করে প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেবে।
ইফতারি কিংবা সেহরিতে যতোটা সম্ভব মাংস এড়িয়ে চলায় ভালো। মাংস যদি খেতেই হয় তবে লাল মাংস বাদ দেওয়া উচিৎ।
রোজা রাখলে সারাদিন আপনাকে সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয় সেটিই স্বাভাবিক নিয়ম। ইফতারির খাবারকে মুখরোচক করতে টেস্টিং সল্ট কিংবা সাধারণ লবণের ব্যবহার বেশি চলে। খাবারে ব্যবহৃত অতিরিক্ত লবণ আপনার পানির তৃষ্ণা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যে কারণে রোজা রাখা আপনার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যেতে পারে। তাই খাবারের লবণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখাই ভালো।