দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমা নিয়ে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। চীন এবার তাইওয়ানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে! এমন খবর আরও উদ্বিগ্ন করেছে বিশ্ববাসীকে।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমা নিয়ে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। চীন এবার তাইওয়ানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে! এমন খবর আরও উদ্বিগ্ন করেছে বিশ্ববাসীকে।
চীন ও তাইওয়ানের উত্তেজনার জেরে তাইওয়ানে হামলার জন্য সাগরে মোতায়েন সামরিক ব্রিগ্রেড দুটি থেকে বাড়িয়ে ৬টিতে উন্নীত করেছে চীন। এমন তথ্য দিয়েছে মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চীন সাগর দখল নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছে। সাগরের কিছু অংশকে নিজেদের বলে দাবিও করছে দুই পক্ষই। তাইওয়ানের অভিযোগ হলো, প্রভাব বিস্তারের জন্যই বেইজিং সাগরের কিছু দ্বীপে অনুপ্রবেশ করেছে।
চীনের সামরিক ক্ষমতা সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) দেশটির কংগ্রেসকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, চীন তাইওয়ানের স্বাধীনতা বাতিল করে তাদেরকে মূল ভূখন্ডের বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য বাধ্য করবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাইওয়ান প্রণালীতে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। এছাড়া যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে তাইওয়ানের স্বাধীন সত্তা বাতিল করে চীনের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যুক্তও করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাইওয়ান চীন প্রজাতন্ত্রের আওতাধীন একটি পরাধীন রাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সামরিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘চীনা সেনাবাহিনী (পিএলএ) তাইওয়ানকে সব রকমের চাপ প্রয়োগ করে চীনের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।’
জানা যায়, পিপলস লিবারেশন আর্মি তাইওয়ানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে জল-স্থল উভয় দিক হতে বড় ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম। সাগরে চীন যে রুটিন মাফিক সামরিক মহড়া চালাচ্ছে তা অব্যাহত রাখলেও ছোট্ট তাইওয়ানকে পরাস্ত করা কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমনটাই বলা হয়েছে মার্কিন ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে হামলার আশঙ্কা করে বলা হয়েছে, চীন সম্প্রতি সাগরে যে দুটি সামরিক কমান্ড সংযুক্ত করেছে সেগুলো হলো, ইলেকট্রনিক, সাইবার, মহাকাশ, যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য স্ট্রাটেজিক সাপোর্ট ফোর্স (এসএসএফ)। আর অপরটি হলো জয়েন্ট লজিস্টিক সাপোর্ট ফোর্স (জেএলএসএফ)। যা লজিস্টিক সেবাসমুহ দেওয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবে।