দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইংল্যান্ডের নর্থ ইস্ট জেলা অ্যাসেক্সের একটি গ্রাম হলো সেন্ট অসিথ। এই গ্রামে একটি প্রাচীন ভবন রয়েছে। নাম হলো ‘দ্যা কেজ’। মধ্যযুগে কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই গ্রামটি। ১৫৮২ সালে এই কারাগারে ১৩ ‘ডাইনি’কে নাকি রাখা হয়েছিল বিচারের জন্য!
ইংল্যান্ডের নর্থ ইস্ট জেলা অ্যাসেক্সের একটি গ্রাম হলো সেন্ট অসিথ। এই গ্রামে একটি প্রাচীন ভবন রয়েছে। নাম হলো ‘দ্যা কেজ’। মধ্যযুগে কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই গ্রামটি। ১৫৮২ সালে এই কারাগারে ১৩ ‘ডাইনি’কে নাকি রাখা হয়েছিল বিচারের জন্য!
ওই ১৩ ‘ডাইনি’র মধ্যে নাকি ৩ জন দোষী সাব্যস্ত হন। তাদেরকে নাকি ফাঁসি দেওয়া হয়। বাড়িটির বর্তমান মালিকের ধারণা যে, ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ওই ৩ ডাইনির আত্মা এখনও বাড়িটিতে ঘুরে বেড়ায়। তাছাড়া অশুভ আত্মাদের বিচরণ রয়েছে ওই বাড়িতে।
এই ভবনের মালিকের নাম হলো ভেনেসা মিচেল। ২০০৪ সাল হতে বাড়িটির মালিকানা পান তিনি। বসবাসও শুরু করেন সেখানে। তবে চার বছর পর বাড়িটি হতে পালিয়ে যান। তারপর হতেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাড়িটি বিক্রি করার জন্য।
এই বাড়ি সম্পর্কে ভেনেসা মিচেল বলেন, বাড়িটিতে থাকার সময় অনেক ভুতুড়ে সব কাণ্ড ঘটেছে। ভূতেরা বাড়িটির ভেতর উৎপাত করতো। তার দাবি হলো, অন্তঃস্বত্ত্বা থাকা অবস্থায় একবার একটি ভূত তাকে ধাক্কা দিয়েছিলো।তাছাড়া তিনি ভবনের ভেতর রহস্যময় রক্তও দেখতে পেতেন। অশুভ আত্মারা ছাগলের রূপ ধরে ভেতরে ঘুরে বেড়াত বলেও দাবি করেছেন ভেনেসা মিচেল।
জানা গেছে, এই বাড়িটি বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছে এস্টেট এজেন্ট হোম ডমাস ৩৬০। তারা আশা করছেন যে, অস্বাভাবিক এই বাড়িটিকে কেও ভালোবাসবে কিনতে এগিয়ে আসবেন।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র ফ্লোরেন্ট ল্যাম্বার্ট বলেছেন, ‘ভেনেসা মিচেল ভুতের কারণে ওই বাড়িতে বসবাস করতে পারেননি। তিনি কয়েকবার এটি বিক্রির চেষ্টাও করেছেন। তবে তিনি সফল হননি।’
এই বিষয়ে ল্যাম্বার্ট আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় বাড়িটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কেও এটি কিনবে না। তবে ইতিহাস সমৃদ্ধ বা ভুতের বাড়ি হিসেবে খ্যাতি রয়েছে এমন বাড়ির বড় মার্কেট রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ইংল্যান্ডে। তাছাড়া আমরা এমন ক্রেতাকেও খুঁজছি যারা বাড়িটি কিনতে চাইবে কেবল ছুটির দিনগুলো কাটানোর জন্য।’