দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কঠিন রোগ অর্থাৎ দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রেমিক। মৃত্যুর মুখে এসে হাজির হয়েছেন প্রেমিক। তারপরও প্রেমিকা তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে বিয়ে করলেন। বিয়ের পরের দিনই ঘটলো মৃত্যু!
কঠিন রোগ অর্থাৎ দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রেমিক। মৃত্যুর মুখে এসে হাজির হয়েছেন প্রেমিক। তারপরও প্রেমিকা তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে বিয়ে করলেন। বিয়ের পরের দিনই ঘটলো মৃত্যু!
তার নাম নাভার হারবার্ট। বয়স ২২। এই যুবক কঠিন রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে প্রেমিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে কি হবে প্রেমিকা ঠিক গভীর ভালোবাসার প্রমাণ দিলেন। ভয়ংকর ব্রেন টিউমার নিয়ে মারা যাবেন মাত্র একদিন পরই। ঠিক এই সময়ই প্রেমিকা মাইয়া ফ্যালওয়াসার এই সিন্ধান্তটি নিলেন। মৃত্যু পথযাত্রী প্রেমিককে বিয়ে করে ভালোবাসার অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এই অস্ট্রেলীয় তরুণী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত নাভার হারবার্ট কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট দলের রাগবি খেলোয়াড়। ২২ বছর বয়সী এই তরুণ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হারবার্টের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাইয়া ফ্যালওয়াসার নামে ওই তরুণীর।
পৃথিবী হতে চিরবিদায় নেবেন (মৃত্যু নিশ্চিত) জেনেও প্রেমিক হারবার্টকে বিয়ে করলেন তিনি। গোল্ড কোস্টে আবেগঘন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দুইজনেরই পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা। পরদিন রাতেই মারা যান হারবার্ট।
বিয়ের অনুষ্ঠানে হুইল চেয়ারে করে বরের বেশে হাজির হন নাভার হারবার্ট। ফুল হাতে হাজির হন সাদা গাউনে কনে মাইয়া ফ্যালওয়াসা। জাঁকজমক এক অনুষ্ঠানে পরস্পরকে বরণ করে নেন এই নবদম্পতি। বিয়েতে আয়োজন করা হয় নাচ-গান, পানীয় ও খাবারের। মৃত্যুর মাত্র একদিন আগে বিয়ে করলেও দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থাকছিলেন তারা। তাদের ১১ মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
এই বিষয়ে মাইয়া বলেন, ‘আমি আজ আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারালাম। আমার স্বামীকে হারালাম। আমার ছেলে হারিয়েছে তার বাবাকে। আজ আমার শোকের দিন।’
বিয়েতে উপস্থিত হওয়ায় অতিথিদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নববধু মাইয়া। তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছি। এমন কঠিন মুহূর্তে তারা আমার পাশে রয়েছেন, আমাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’