দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ফ্ল্যাটের দাম যে এতো হতে পারে তা আমরা আগে কখনও ভাবিনি। তবে এবার বাস্তবে উঠে এলো এমন একটি তথ্য। একটি ফ্ল্যাটের দাম সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা!
পৃথিবীতে মাঝে-মধ্যেই কিছু বিস্ময়কর ঘটনার সূত্রপাত ঘটে, এটিও সেইসব বিস্ময়কর ঘটনার একটি। কারণ হলো একটি ফ্ল্যাটের দাম যখন হয় আকাশ ছোঁয়া দাম তখন বিস্ময়ের যেনো শেষ থাকে না। একটি ফ্ল্যাটের দাম যে এতো হতে পারে তা আমরা আগে কখনও ভাবিনি। তবে এবার বাস্তবে উঠে এলো এমন একটি তথ্য। একটি ফ্ল্যাটের দাম সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা!
সুউচ্চ এক সুরম্য অট্টালিকা। আকাশছোঁয়া ভবনের সবচেয়ে ওপরের ৩টি তলায় রয়েছে মোট ৫টি শয়নকক্ষ। রয়েছে সুইমিংপুল, ৬০০ বোতল ওয়াইন ভরা মদের ভান্ডার (পাব সেন্টার), ম্যাসাজ সেন্টার এবং ব্যক্তিগত বাগান। সুপার ওই প্যান্টহাউসটি (ফ্ল্যাট) সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকারও বেশি দাম পড়েছে। সিঙ্গাপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওয়ালিক রেসিডেন্স ভবনে এই ফ্ল্যাটটি অবস্থিত। বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্যান্টহাউসটি নাকি কিনেছেন যুক্তরাজ্যের কোটিপতি ব্যবসায়ী স্যার জেমস ডাইসন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ৬৪ তলাবিশিষ্ট ওয়ালিক রেসিডেন্স ভবনের ৬২ হতে ৬৪ তলা পর্যন্ত প্যান্টহাউসটির আয়তন ২১ হাজার ফুটেরও বেশি। যুক্তরাজ্যের বেক্সিটপন্থী ব্যবসায়ী ডাইসন গত জানুয়ারিতে নিজেদের ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানের প্রধান সদর দপ্তর লন্ডন হতে সরিয়ে এশিয়ার সুপার পাওয়ার অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। বিপুল অর্থ খরচ করে ওই প্যান্টহাউসটি কিনে নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছে ডাইসনের প্রতিষ্ঠান। এটির যৌথ মালিক ডাইসন এবং তাঁর স্ত্রী। ৯৯ বছরের জন্য তাঁরা প্যান্টহাউসের মালিকানা লাভ করেছেন বলে জানা যায়। এটি কেনার চুক্তিপত্রে সই হয়েছে গত ২০ জুন।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে বলা হয়, ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে একটি প্যান্টহাউস কিনেছিলেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এদুয়ার্দো সাভেরিন। সেজন্য তাঁকে ৬ কোটি সিঙ্গাপুরী ডলার খরচ করতে হয়। সেই হিসাবে ডাইসনের প্যান্টহাউসের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ কোটি ৪০ লাখ সিঙ্গাপুরী ডলার।
ডাইসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, ডাইসন তাঁর নিজের ব্যবসা এশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যে কারণে সেখানে সম্পদ কেনা কোনো বিস্ময়কর ঘটনায় নয়।