দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমাতে চিন্তার কোন শেষ নেই আমাদের! একটু মোটা হলেই শুরু করে দেই ডায়েট। আর আমরা এই ডায়েট পরিচালনা করার সময় শশা, গাজর আর সুপ খেয়েই পার করে দিই দিনের পর দিন। আজ জেনে নিন ওজন কমায় যে ১০টি খাবার সম্পর্কে।
ডায়েট শুরুর প্রথম দিকে আমাদের ওজন কিছুটা কমলেও একটা সময় পর ওজন যেন আর কমতেই চায় না। এছাড়া ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা আমাদের জীবন ব্যবস্থায় আমরা নানান বিধি নিষেধ মেনে চলি। কিন্তু এত কিছুর পরও ওজন কমে না। বাড়তি ওজন যেন পিছুই ছাড়তে চায় না আমাদের। এদিকে নানান ডায়েট, আদেশ উপদেশ মানতে মানতে আমরা জেনো হতাশ হয়ে পরি। হতাশা নিয়ে আমরা খেয়াল করি, ওজন তো কমছেই না উল্টোদিকে দীর্ঘদিন থেকে ডায়েট করার ফলে আমাদের শরীরে দেখা দিচ্ছে অপুষ্টি ও আমাদের মুখ হয়ে যাচ্ছে ফ্যাকাসে। আমরা লক্ষ করি যে আমাদের চুল পড়ে যাচ্ছে, চামড়া শুষ্ক হয়ে পড়ছে, চেহারায় লাবণ্য নেই, আমাদের ঘুম কমে যাচ্ছে, আমাদের চোখের নিচে কালো হয়ে যাওয়া সহ আরো নানান প্রতিকূলতা আমাদের সঙ্গী হয়ে পড়ে। তবে আপনি শুনে অবাক হবেন যে আমরা কিছু খাবারের দ্বারাই আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই কমাতে পারি।
তাহলে আসুন জেনে নেই ওজন কমানোর ১০টি খাবার সম্পর্কেঃ
১. পানিঃ আমাদের ওজন কমানোর জন্য পানির গুরুত্ব অপরিসীম। । দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি গ্রহন করার ফলে আমরা আমাদের ওজনকে খুব সহজে হ্রাস করতে পারি। পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। তাই ওজন কমানোর জন্য আমাদের পানি পান করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে।
২. কাঠবাদামঃ আমাদের সকলের কাছেই কাঠবাদাম একটি পরিচিত খাবার। কাঠবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি খাদ্য। কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল আমাদের শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ সকাল একমুঠো কাঠবাদাম দিয়ে শুরু করা। কাঠবাদাম শরীরের ওজোনকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখে।
৩. সবুজ শাক সবজিঃ আমাদের শরীরকে স্লিম ও সুন্দর করে তুলতে সবুজ শাক সবজির পরিমান হতে হবে যথেষ্ট। ভাতের চেয়ে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে অচিরেই। শাক সবজিতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমুহ আমাদের চর্বি কমায়।
৪. আপেলঃ আপেল আমাদের শারীরিক ওজন কমানোর জন্য একটি অতিব কার্যকারী খাবার। শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কাটতে আপেল খুবি কার্যকর। একটি আপেলে ৪-৫ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।
৫.সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছ শরীরে ওজন কমানোর জন্য খুবি পরিচিত একটি খাদ্য। সামুদ্রিক মাছ থেকে যে ফ্যাট পাওয়া যায় তার নাম ‘পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’। এছাড়া সামুদ্রিক মাছে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই অ্যাসিড মেদ বৃদ্ধিতে দায়ী চর্বিকে পোড়াতে এবং শরীরে ভালো চর্বির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. শশাঃ শশা খুবই ঠাণ্ডাজাতীয় একটি খাদ্যশস্য। শশার প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি যা আমাদের শরীরে মেদ কমানোর জন্য খুবি উপকারী। শশায় ক্যালোরির পরিমাণ খুব থাকে। একটি শশাতে মাত্র ৪৫ ক্যালোরি থাকে যা মেদ কমানোর জন্য কার্যকারী ভুমিকা রাখে।
৭. ওটসঃ ওটস আমাদের খুবি পরিচত একটি খাবার। ওটস হচ্ছে ওজন কমানোর খুব ভালো ও দরকারি একটি খাদ্য উপাদান। সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটস খেলে ওজন খুব দ্রুত কমে যায়। ওটসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা আমাদের জন্য খুবি উপকারী।
৮. সবুজ চাঃ সবুজ চা আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি পানিয়। এ পানীয় শুধু আমাদের শরীরকে সতেজই রাখে না, সঙ্গে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ পরোক্ষভাবে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৯. পিপারমেন্টঃ আমাদের হজম শক্তির জন্য পিপারমেন্ট খুবি উপযোগী একটি খাদ্য। মেদ পূর্ণ পেট কমাতে পিপারমেন্ট খুবই দরকারি একটি খাবার। চায়ের সঙ্গে পিপারমেন্ট মিশিয়ে খাওয়া খুবি উত্তম।
১০. আঁশজাতীয় খাবারঃ আঁশজাতীয় খাবারে ভিটামিন-বি বেশি থাকে, যা আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি আমাদের বেসাল মেটাবলিক রেট সচল রাখে। আঁশজাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবি উপযোগী যা আমাদের শরীরের ওজন কমানোর জন্যেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।