দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শত বছর বেঁচে থাকার ইতিহাস খুব বেশি একটা চোখে পড়ে না। বিশেষ করে জাপানি নারীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় শত বছর বাঁচার। তবে এবার মার্কিন এক নারী ফাঁস করলেন শত বছর বেঁচে থাকার রহস্য!
শত বছর বেঁচে থাকার ইতিহাস খুব বেশি একটা চোখে পড়ে না। বিশেষ করে জাপানি নারীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় শত বছর বাঁচার। তবে এবার মার্কিন এক নারী ফাঁস করলেন শত বছর বেঁচে থাকার রহস্য!
আপনি কী নিরোগ অবস্থায় একশো বছর পৃথিবীতে বাঁচতে চান? এটি কিন্তু সবাই চায়। তবে সবার সেই আশা কখনও পূরণ হয় না। যেমনটি হয়েছে এই মার্কিন নারীর ক্ষেত্রে। ১০৭তম জন্মদিনে এসে ওই মার্কিন বৃদ্ধা তার এই দীর্ঘায়ুর রহস্য প্রকাশ করলেন!
শতবর্ষী ওই নারী জানিয়েছেন, দীর্ঘায়ু জীবনের গোপন চাবিকাঠিই হলো বিয়ে না করা। এটি তার ব্যক্তিগত মতামত হলেও তিনি বিয়ে না করাটাকেই তার দীর্ঘায়ুর মূল রহস্য হিসেবে তিনি চিহিৃত করেছেন।
১৯১২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে জন্ম গ্রহণ করেন লুইজ সিগনো। তার শৈশব কেটেছে সেখানেই। ১৪ বছর বয়সে লুইজ সিগনো স্থান বদল করেন। তারপর হতে পাকাপাকিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হয়ে যান লুইজ সিগনো। ছোটবেলায় ঘুম হতে উঠে শরীরচর্চা করতেন লুইজ সিগনো। নাচের ক্লাসে যাওয়াও ছিলো তার বরাবরের একটি অভ্যাস। নিজের কাজ করতে কখনও অন্য কারও সাহায্য নিতেন না তিনি। এভাবেই জীবনের ১০৭টি বসন্ত পার করেছেন লুইজ সিগনো। আর তাই তার আজও বদলায়নি কোনো কিছু। একইভাবে থেকেছেন তিনি সুস্থ্য অবস্থায়।
১০৭ বছরের জন্মদিনে নিজেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ওই বৃদ্ধা লুইজ সিগনো। এক রেস্তোরায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৃদ্ধার আত্মীয়, বন্ধুরা প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। গোলাপি রংয়ের পোশাক ও মুক্তার হারে সেজে দিব্যি হাসি হাসি মুখে কেক কাটেন লুইজ সিগনো।
কীভাবে এমন দীর্ঘায়ুর অধিকারী হলেন ওই বৃদ্ধা? এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আমি বিয়েই করিনি। আমি মনে করি এই বিয়ে না করার বিষয়টিই আমার ১০৭ বছর বয়সে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার গোপন চাবিকাঠি। তাছাড়াও আমি সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাই। প্রতিদিন শরীরচর্চা করি। আমি এখনও প্রতিদিনই নাচের ক্লাসেও যাই। আমার এগুলো করতে কোনোই অসুবিধা হয় না।’’ এই বিষয়গুলো তিনি জানিয়েছেন দৃঢ়তার সঙ্গেই।