দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই রক্তের বন্ধন কখনও বৃথা যায় না। কোনো এক সময় এই রক্তের সম্পর্ক দৃঢ় হয়। যার প্রমাণ দিলেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। তিনি তার বাবাকে এক নতুন জীবন দিলেন।
সত্যিই রক্তের বন্ধন কখনও বৃথা যায় না। কোনো এক সময় এই রক্তের সম্পর্ক দৃঢ় হয়। যার প্রমাণ দিলেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। তিনি তার বাবাকে এক নতুন জীবন দিলেন।
মেয়ের বয়স মাত্র ১৯। আর বাবার বয়স ৬৫। কিছুদিন ধরেই বাবার পেটে ব্যথা হতো, কিছু খেতে পারতেন না তিনি। হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেলো যে তিনি লিভারের কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ করতে হলে তাকে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে! তবে তাকে কে দেবে লিভার? এগিয়ে এলেন তারই একমাত্র মেয়ে ১৯ বছর বয়সী রাখী দত্ত। তিনি বললেন, বাবার জন্য তিনি নিজের লিভারের অংশবিশেষ দান করতে প্রস্তুত রয়েছেন! অবশেষে সেই সাহসী মেয়ের কারণেই নতুন জীবন পেলেন তার বাবা! বাবা-মেয়ের যেনো এক রোমাঞ্চকর গল্প!
আমরা জানি বাবা-মেয়ের সম্পর্ক সবসময়ই একটু আবেগমাখা হয়ে থাকে। রাখী দত্তের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। বাবার এমন কঠিন রোগ হয়েছে শুনে প্রথমে ভেঙে পড়েন রাখী দত্ত। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় পুরো ব্যাপারটি তিনি ভেবে দেখেন। তার জীবনে বাবার প্রয়োজন রয়েছে। বাবাকে অনেক ভালোবাসেন রাখী দত্ত। তাই সিদ্ধান্ত নিতে একটুও দেরি করেননি। নিজের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে জেনেও বাবার জীবন বাঁচাতে নিজের লিভারের ৬৫% দান করতে এক কথায় রাজী হয়ে গেলেন রাখী দত্ত।
তারপর শুরু হলো জটিল এক অস্ত্রোপচারের সব আয়োজন। হায়দরাবাদের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলোজি হাসপাতালে ভর্তি করা হলো রাখীর বাবাকে। কোলকাতা থেহতে দুজন লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ সেখানে উপস্থিত হয়ে এই জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করলেন। সুস্থ হয়ে ওঠলেন রাখীর বাবা। পেটে অপারেশনের গভীর চিহ্ণসহ বাবা-মেয়ের ছবি বর্তমানে সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল। ১৯ বছরের মেয়েটির দুর্দান্ত সাহস ও ভালোবাসার প্রশংসা না করে কী কারও উপায় আছে? প্রচুর প্রশংসায় ভাসছেন মেয়ে রাখী দত্ত। নিজের জীবনকে বিপন্ন করে কেইবা এতোটা করে? তাইতো রাখী দত্তের জন্য আশির্বাদও করছেন সকলেই।