দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন ঘটনার কথা শুনে যে কেও বিস্মিত হবেন। কারণ আদিকালে দাসপ্রথা প্রচলন থাকলেও এখনকার এই আধুনিক যুগেও নাকি বউ বিক্রির ঘটনা ঘটে! আজব এই দেশের নাম নাইজেরিয়া।
এমন ঘটনার কথা শুনে যে কেও বিস্মিত হবেন। কারণ আদিকালে দাসপ্রথা প্রচলন থাকলেও এখনকার এই আধুনিক যুগেও নাকি বউ বিক্রির ঘটনা ঘটে! আজব এই দেশের নাম নাইজেরিয়া।
সত্যিই এমন কথা শুনে সকলকেই আশ্চর্য হতে হয়। নাইজেরিয়াতে নাকি টাকার বিনিময়ে বউ বিক্রি হয়! এখনও নাকি অনায়াসেই বউ বেচাকেনার হাট বসে আফ্রিকার এই দেশ নাইজেরিয়াতে। সেখানকার বিত্তবানরা চাইলেই দরিদ্র মেয়েদের অনায়াসে টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারেন। সেই প্রথার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মানি ম্যারেজ’।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, অর্থের বিনিময়ে মাত্র ৫ বছর বয়সী মেয়েশিশুকেও একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের হাতে তুলে দেওয়ার নজির সেখানে রয়েছে! যদিও ২৫ বছর আগেই এই ধরনের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে নাইজেরিয়া সরকার। তার পরেও সেখানকার সমাজে এই প্রথায় এখনও বিয়ে হচ্ছে।
নাইজেরিয়ার কমিউনিটি লিডার ওনামাতোপে সানডে ইনচেলে এই ধরনের ঘটনার শিকার মেয়েদের উদ্ধার কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি জানান যে, গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকেই এই ধরনের বিবাহ প্রথা বাতিল করা হয়। এখন প্রকাশ্যে এসে তো কোনো ব্যক্তি বলতে পারে না যে, আমি টাকার বিনিময়ে আপনার মেয়েকে বিয়ে করবো।
এই মানবাধিকার কর্মী আরও বলেন, আর্থিক অনটনে থাকা পরিবারগুলোই মূলত অর্থের বিনিময়ে তাদের মেয়েদের স্বেচ্ছায় এই ধরনের বিয়ে দিয়ে থাকেন। কখনও কোনো বাবা অসুস্থ হলে বা পুলিশী মামলায় জড়িয়ে পড়লে এই ধরনের ঘটনা ঘটে।
এই ধরনের বিয়ে পৃকৃতপক্ষে আদিকালের মতোই এক ধরনের দাসপ্রথা। এর মাধ্যমে চরমভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নাইজেরিয়ার মেয়েশিশু এবং কিশোরীরা। এই ধরনের বিয়ের শিকার মেয়েদের বলা হয়ে থাকে ‘মানি ওয়াইফ’ বা টাকাতে কেনা বউ। নাইজেরিয়ার আইনে কম বয়সীদের বিয়ের প্রথা না থাকলেও এখন অহরহ ঘটছে এই ধরনের বেআইনী কাজ। মানবাধিকার কর্মীরা কিছুটা সরব থাকার কারণে মাঝে মধ্যে দু’একটি ঘটনা জনসমক্ষে উঠে আসে। তবে বেশির ভাগই গোপনই থেকে যায় এইসব দাসপ্রথা। দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ এই ধরনের অনৈতিক কাজ করে আসছে।