দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই মানুষ কতো প্রকৃতির হতে পারে তা দেখে সত্যিই বোঝা মুশকিল। মানুষের মন মানষিকতাও এক এক জনের এক এক রকম। এমনই এক ঘটনার খোঁজ পাওয়া গেছে। জাপানে এমন একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে মৃত্যুর পূর্বে দেহ বিক্রি করা যায়!
সত্যিই মানুষ কতো প্রকৃতির হতে পারে তা দেখে সত্যিই বোঝা মুশকিল। মানুষের মন মানষিকতাও এক এক জনের এক এক রকম। এমনই এক ঘটনার খোঁজ পাওয়া গেছে। জাপানে এমন একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে মৃত্যুর পূর্বে দেহ বিক্রি করা যায়!
মানুষের এমন মনোভাবের আরও কিছু কারণও রয়েছে। কারণ রেস্টুরেন্টে প্রকাশ্যেই বিক্রি করা হচ্ছে মানুষের মাংস দিয়ে তৈরি নানা রকম খাবার। সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি জাপানের রাজধানী টোকিওতে এমন একটি খাবার রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে। যে রেস্টুরেন্টে মানুষের মাংস বিক্রি করার বৈধতাও রয়েছে!
এমন কথা শুনে আপনি হয়তো ভাবছেন এটি একটি কাল্পনিক বা সম্পূর্ণ অবৈধ রেস্তোরাঁর কথা বলছি। তবে তা নয়, ব্যাপারটি আসলে তা নয়। রেস্টুরেন্টটির রয়েছে মানুষের মাংস বিক্রি করার আইনগত বৈধতাও। টোকিওতে অবস্থিত ওই রেস্টুরেন্টির নাম হলো The Resoto ototo no shoku ryohin, নামটি জাপানি ভাষায় রাখা হলেও এই নামের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘খাবারের যোগ্য ভাই’।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও জানা যায়, ওই রেস্টুরেন্টটি মূলত মৃত মানুষের লাশ কিনে নেয়। এমনকি জাপানের অনেক মানুষই রয়েছে যারা মৃত্যুর পূর্বে তাদের সেই দেহ ওই রেস্টুরেন্টটিতে বিক্রয়ের জন্য পরিবারকে জানিয়ে রাখে। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি লাশের জন্য ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বনিম্ন ২৭,০০০ ইউরো পরিমাণ অর্থ প্রদান করে থাকে, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩০ লক্ষ তিন হাজার টাকার মতো দাঁড়াচ্ছে!
সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় বসবাসকারী এক জনৈক পর্যটক জাপানের ওই মানুষের মাংস বিক্রি করা রেস্টুরেন্টটিতে খেতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে।
তিনি বলেন যে, রেস্টুরেন্টিতে বিক্রি করা মাংসের স্বাদ অনেকটা শূকরের মাংসের মতোই, তবে সাধারণ মাংসের তুলনায় ওই মাংস অনেকটাই শক্ত ও টাইট বলে মনে হয়েছে!
তাহলে একবার ভাবুন বিষয়টি। কোরআনে রয়েছে কেয়ামতের আগে নাকি মানুষ মানুষের মাংস খাবে। তাহলে কী কেয়ামত খুব নিকটে?