দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লম্বা ঘন কালো মজবুত চুল আমাদের সকলেরই পছন্দ। সঠিক সৌন্দর্য প্রকাশে চুলের বিকল্প যেন হয়না। লম্বা চুল সকল নারীদের যেন অহংকার আর সকল পুরুষের ভালবাসা। আজ জেনে নিন ঘরে বসে কন্ডিশনার তৈরির ফর্মূলা।
নারীরা তাদের ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে কোন প্রকার আপোষ করতে নারায। তবে ত্বকের পাশাপাশি তাদের এই সৌন্দর্য বর্ধক চুলের যত্নেও করে চলেছে নানান সব চর্চা। সঠিক ভাবে চুলের যত্ন না নিলে তা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি হতে পারে। আমাদের অনেকেরই চুল পড়ে যায় খুবি ভয়াবহ হারে। চুল পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুল লাল হয়ে যাওয়া, মাথায় খুশকি হওয়া, মাথায় ঘা হয়ে যাওয়া, চুল পেকে যাওয়াসহ আরো অনেক সমস্যা। আর এই সকল সমস্যা সমাধানের লক্ষে আমরা মাথায় নানা রকমের ট্রিটমেন্ট করে থাকি। তবে ঘরোয়া ভাবে আমরা আমাদের মাথা পরিষ্কার করার জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি।
চুলের যত্নে শ্যাম্পু আমাদের সকলের কাছে খুবি পরিচিত একটি নাম যা আমরা সকলেই ব্যবহার করে থাকি। আমাদের চুলের এমন যত্নে শুধু ভালো মানের শ্যাম্পু যথেষ্ট নয় তার পাশাপাশি আমাদের উন্নত মানের কন্ডিশনারও ব্যবহার করা উচিত। কন্ডিশনার আমরা সাধারনত শ্যাম্পু দেয়ার পর বা আগে আমাদের চুলে ব্যবহার করে থাকি। কন্ডিশনার আমাদের চুলকে উজ্জ্বলতা প্রদান করার পাশাপাশি চুলকে নরম করে। কন্ডিশনার আমাদের চুলের ঘনত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি আমাদের চুলের পি এইচ ব্যাল্যান্স বজায় রাখতে কার্যকারী ভুমিকা পালন করে। আমরা বিভিন্ন যায়গা থেকে বিভিন্ন মানের কন্ডিশনার কিনতে পারি তবে আমরা যদি ঘড়ে নিজের হাতে তৈরি করা কন্ডিশনার বানাই এবং তা ব্যবহার করি তাহলে বাজারের থেকে কেনা কন্ডিশনারের তুলনায় বেশি উপকৃত হবে আমাদের শখের চুল। আমরা খুব সহজেই ঘরোয়া ভাবে আমাদের চুলের জন্য চমৎকার কন্ডিশনার তৈরি করতে পারি।
তাহলে আসুন জেনে নেই ঘরোয়া ভাবে চুলের কন্ডিশনার তৈরির পদ্ধতিঃ
পদ্ধতি ১
আমাদের চুলের কন্ডিশনিং এর পাশাপাশি চুলের ময়েশ্চেরাকে বজায় রাখতে এক অভিনব ভুমিকা পালন করবে আমাদের এই কন্ডিশনারটি।
প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই চামচ অলিভ অয়েল এর সাথে সামান্য পানি নিন। তারপর একটি দিমের কুসুমকে অলিভ অয়েল ও পানির সাথে ভালো করে ফেটে নিন। তবে মিস্রনের আগে ডিমের কুসুমকে ভালো করে আলদা পাত্রে ফেটে নিলে ভালো। এই হালকা মিশ্রণটিকে গোসলের আধাঘণ্টা আগে ব্যবহার করুন তারপর একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
পদ্ধতি ২
আমাদের পরবর্তী কন্ডিশনারটি চুলের পি এইচ ব্যাল্যান্সকে বজায় রাখতে একটি চমৎকার ভুমিকা রাখবে। আমদের চুলের অতিরিক্ত সাইন দেয়ার পাশাপাশি চুলের ড্যামেজ নিবারনের ক্ষেত্রেও এটি খুবি উপকারী। এই কন্ডিশনার তৈরিতে প্রথমে একটি ডিমের সাদা অংশকে একটি পাত্রে ভালকরে ফেটে নিতে হবে। পরবর্তীতে এর সাথে পরিমাণ মত টক দই মেশাতে হবে। এই মিশ্রণকে খুবি ভালভাবে মেশাতে হবে যাতে করে একদম স্মুদ একটি তরল তৈরি হয়। ব্লেন্ড করে নিতে পারলে আরো ভালো। গোসলের ১৫ মিনিট আগে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন টানা একমাস সাপ্তাহে ২ দিন করে।
পদ্ধতি ৩
নারিকেল তেল আমাদের সকলের পরিচিত যা আমরা আমাদের চুলে ব্যবহার করি বহু বছর আগে থেকেই। নারকেল তেলে রয়েছে আমাদের চুলের জন্য উপকারী ভিটামিন ও ফ্যাটি এসিড যার কারণে নারিকেল তেলকে বলা হয় চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। নারিকেল তেলের সাথে সামান্য মধু মেশান তারপর তা সম্পূর্ণ চুলে নিয়মিত মাখুন। ১৫ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার চুল ফিরে পাবে তার হারানো সৌন্দর্য আর উজ্জ্বলতা।
এছাড়া চুলের যত্নে আমরা আমলা, বহেরা, হরিতকি, মেহেদি সহ নানান সকল উপাদান ব্যবহার করতে পারি যা আমাদের চুলকে উপকৃত করবে ঘরোয়া ভাবে।