দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেরি মেরি গান যেভাবে ভাইরাল হয়েছিলো রাণু মণ্ডলের গাওয়া আরেকটি গানও এবার ভাইরাল হলো। এই গানটিও এখন মানুষের মোবাইলে মোবাইলে শোভা পাচ্ছে।
তেরি মেরি গান যেভাবে ভাইরাল হয়েছিলো রাণু মণ্ডলের গাওয়া আরেকটি গানও এবার ভাইরাল হলো। এই গানটিও এখন মানুষের মোবাইলে মোবাইলে শোভা পাচ্ছে।
রানাঘাটের রাণু জীবনে পরিবর্তন যেনো রূপকথাকেও হার মানিয়ে ফেলেছে। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ‘তেরি মেরির’ গানের পর হিমেশের সুরে ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবির আরেকটি গান ‘আশিকি মে তেরি’ রেকর্ড করলেন রাণু। হিমেশের সঙ্গে ডুয়েটে শোনা যাবে রাণুর এই নতুন গান। নতুন রেকর্ড করা এই গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ার পর মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
‘ফুলো কা তারো কা’, ‘পানা কি তামান্না’ কিংবা ‘জিন্দেগি অওর কুছ ভি নেহি’… দিন-রাত গান গাইতেন রানাঘাটের রাস্তায় রাস্তায় ঘোরা ভবঘুরে রাণু। সম্প্রতি কয়েকজন এই গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর ভাইরাল হয় রানাঘাটের লতা মঙ্গেশ্বর খ্যাত ভবঘুরে রাণু।
রানাঘাটের স্টেশনে ভাইরাল রাণু এখন লাইমলাইটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। রাণু কী করছেন, কী পরছেন, কী গাইছেন…তার প্রতিটি গতিবিধিই যেনো খবরের শীর্ষে থাকছে!
রাণু কখনও কোথাও গান শেখেননি। সব গান শুনে শুনেই মুখস্থ করেছেন, তাও হুবহু লতা মঙ্গেসরের গলার মতোই। মেয়েরা বিয়ের পর মাকে একা রেখে চলে যায়। সেই রাণু মণ্ডলের গাওয়া ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর খুলে গেলো তার ভাগ্যের চাকা। রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে গেলেন রানাঘাটের স্টেশনের সেই রাণু মণ্ডল। তারপরই মেয়ে ফিরে আসে তার কাছে। বদলে যায় রাণুর জীবন মান।
রাণুকে নিয়ে যাওয়া হলো বিউটি পার্লারে। তার চুল স্ট্রেট করা হলো। কালো রং করা হলো চুল, তাকে পরানো হলো দামি শাড়ি। এখানেই শেষ নয়, ‘সারেগামা’ কোম্পানি তাদের ক্যারাভা রাণুকে উপহার দিলো। এভাবেই রাতারাতি সেলিব্রেটিতে পরিণত হলেন রানাঘাটের রাণু মণ্ডল। সত্যিই কি বিচিত্র পৃথিবী। কদিন আগে যে ব্যক্তির স্থান ছিলো রাস্তাঘাটে, আর সেই ব্যক্তির কতো কদর! এখন সালমান খানের মতো সুপারস্টার তাকে দিয়ে গান করাতে চান, তাকে বাড়ি উপহার দেন। এভাবেই বদলে গেলো রাণুর জীবন।
দেখুন ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?time_continue=2&v=ZB9H9ZZ2kPA