দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বাতিল হওয়ার পর সেখানে জমি কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। এবার কাশ্মীরে মহারাষ্ট্র সরকার জমি কিনছে। তাদের উদ্দেশ্য সেখানে দুটি পর্যটন রিসোর্ট নির্মাণ করা।
কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বাতিল হওয়ার পর সেখানে জমি কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। এবার কাশ্মীরে মহারাষ্ট্র সরকার জমি কিনছে। তাদের উদ্দেশ্য সেখানে দুটি পর্যটন রিসোর্ট নির্মাণ করা।
কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদটিও। ৩৫ (ক) অনুচ্ছেদটিতে ছিলো সেখানকার নাগরিক ছাড়া অন্য কেও সেখানে জমি কিনতে পারবে না। তাই আগে না পারলেও এখন ভারতের যেকোনো নাগরিকই কাশ্মীরে সম্পত্তি ক্রয়ের সুযোগ পাবেন। তারই প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র প্রাদেশিক সরকার সেখানে জমি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ (৩৫ (ক) অনুচ্ছেদ) থাকাকালে কাশ্মীরের সম্পত্তি সেখানকার নাগরিক ছাড়া অন্য কেও কিনতে পারতো না। তবে অনুচ্ছেদটি বাতিলের পর অঞ্চলটিতে জমি কেনার হিড়িক পড়েছে ভারতীয়দের মধ্যে। মহারাষ্ট্র সরকার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, তারা কাশ্মীরে দুটি পর্যটন রিসোর্ট নির্মাণে জমি কিনতে যাচ্ছেন।
এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, কাশ্মীরে জমি কেনার পর সেখানে দুটি রিসোর্ট নির্মাণের কাজ করবে মহারাষ্ট্র পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন।
মহরাষ্ট্র সরকার কাশ্মীরের পাহালগাম ও লাদাখের লেহ এলাকায় সেইসব জমি ক্রয় করতে চলেছে। তারা বলছে যে, এর মাধ্যমে অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণ এবং বিষ্ণু দেবী মন্দিরে যেতে আগ্রহীরা উপকৃত হবেন। অপরদিকে সমালোচকরা বলছেন, কাশ্মীরের চিত্র বদলে দিতেই মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (স্বায়ত্তশাসন) বাতিল করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। বিশ্বের এই অন্যতম সামরিকায়িত অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিবিসি বলেছে, অবরুদ্ধ কাশ্মীরিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চলাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কারফিউ এবং ১৪৪ ধারার কারণে সেখানকার জীবন যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। মসজিদে নামাজ আদায়ও করতে পারছেন না কাশ্মীরের জনগণ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে সেখানকার মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা দাঁড়িয়েছে। সেখানকার জনগণ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। সেনাবাহিনী যে কোনো সময় তাদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে কাশ্মীরে।