দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুগ আধুনিক হওয়ার কারণে মোবাইলের ব্যবহারও বেড়েছে। মোবাইল ছাড়া যেনো আমাদের এক মিনিটও চলে না। তবে মাঝে মধ্যেই মোবাইলের অব্যবহার হয়ে থাকে। সংসার ভাঙ্গার মতো ঘটনাও ঘটে। যেমন এবার এসএমএস’র উত্তর না দেওয়ার কারণে স্বামীকে তালাক দিলেন এক স্ত্রী!
যুগ আধুনিক হওয়ার কারণে মোবাইলের ব্যবহারও বেড়েছে। মোবাইল ছাড়া যেনো আমাদের এক মিনিটও চলে না। তবে মাঝে মধ্যেই মোবাইলের অব্যবহার হয়ে থাকে। সংসার ভাঙ্গার মতো ঘটনাও ঘটে। যেমন এবার এসএমএস’র উত্তর না দেওয়ার কারণে স্বামীকে তালাক দিলেন এক স্ত্রী!
নানা কারণে বিশ্বজুড়ে দিন দিন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা যেনো বেড়েই চলেছে। পারিবারিক এবং সামাজিক বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও সমস্যার কারণে একে অপরের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে যাচ্ছে হর হামেশায়। ব্যক্তিজীবনে অশান্তির মতো নানা কারণে মূলত ভেঙে যাচ্ছে বৈবাহিক সম্পর্ক। খুব তুচ্ছ ঘটনাতেও ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা। যেমন এক স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিলেন খুব তুচ্ছ একটি ঘটনায়। স্বামী এসএমএস’র উত্তর দেননি সেই অভিযোগ তুলে স্বামীকে তালাক দিলেন এক স্ত্রী!
মাঝে মধ্যে ঘটছে এই বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তবে কিছু কিছু বিবাহ বিচ্ছেদ আমাদের সকলকেই যেনো অবাক করে দেয়। উপরোক্ত ঘটনাও তেমনই একটি বিস্ময়কর ঘটনা। আর তা হলো মূলত উদ্ভট বা তুচ্ছ কোনও কারণের জের ধরে এমন একটি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। সত্যিই শুনতেও আশ্চর্য লাগে যে এমনই একটি উদ্ভট বা খুব সাধারণ একটি কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এক দম্পতির। এমন একটি ঘটনাটি ঘটেছে তাইওয়ানে।
জানা যায়, তাইওয়ানের এক নারী তার স্বামীকে অনেকবার মোবাইলে মেসেজ দিয়েছিলেন।তবে স্বামী মেসেজগুলো দেখেও কোনও রকম উত্তর দেননি।
স্বামীর উত্তর পেতে এক পর্যায়ে নিজে হাসপাতালে রয়েছেন বলেও মেসেজ দেন ওই নারী। ওই মেসেজে স্ত্রী লেখেন যে, হাব্বি, আমি গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছি, আমি এখন আইসিইউতে রয়েছি। আমি বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায়।
স্বামী সেই মেসেজেরও কোনো রকম উত্তর দেননি। এদিকে মেসেজগুলোর সিন অপশন ঠিকই দেখাচ্ছিল। ব্যস! আর যায় কোথায়? স্বামীর এতো অবহেলা মানতে পারেননি ওই স্ত্রী। এই কারণে করে বসেন বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন।
ওই আবেদনে আবার সাড়াও দেন দেশটির সিঞ্চু ডিসট্রিক্ট আদালতের বিচারক। ওই নারীর আবেদনকে যথাযথ মনে করে বিবাহ বিচ্ছেদের পক্ষে রায়ও দেন আদালত! যে কারণে এই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। অথচ আদালত এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বললে হয়তো ওই স্ত্রীর মন হয়তো গলতো এবং একটি বিচ্ছেদ হয়তো রোধ করা যেতো। কিন্তু আদালতও ওই স্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনটি গ্রহণ করে তা কার্যকর করে দেন। আদালত ইচ্ছে করলে স্ত্রীকে ভাববার জন্য কিছুটা সময় বেঁধে দিতে পারতেন। হয়তো স্বামী তার ম্যাসেজটি দেখলেও জরুরি কোনো কারণে সেটির রিপ্লাই দিতে পারেন নি। তাই বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত ছিলো। সাধারণ কোনো বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা আদালতে উঠলেই আদালত কিছুটা হলেও কালক্ষেপণ করেন। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। সরাসরি আদালত সেটি কার্যকরের নির্দেশ দিয়ে দেন! তথ্যসূত্র: বিবিসি