দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বে প্রথমবার ম্যালেরিয়ার টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে আফ্রিকার দেশ ঘানা ও মালাউতে। চলতি বছরের শুরুতে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়।
বিশ্বে প্রথমবার ম্যালেরিয়ার টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে আফ্রিকার দেশ ঘানা ও মালাউতে। চলতি বছরের শুরুতে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়।
বিবিসি এক খবরে জানিয়েছে যে, সম্প্রতি কেনিয়ার কিসুমু, কাকামেগা এবং মোম্বাসায় ম্যালেরিয়ার টিকার প্রথম চালানটি পাঠানো হয়েছে।
এই টিকা মশাবাহী রোগ ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় জয় এনে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আশা করা হচ্ছে যে, আগামী ৩ বছর নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ৩ লাখের বেশি শিশুকে এই ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রায় ৩০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে এই টিকা আবিষ্কার হয়েছে। ‘আরটিএসএস’ নামে এই টিকা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। এই টিকা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে বলেও আশা প্রকাশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)।
জানা গেছে, প্রতিটি শিশুকে ৪ ভাগে (ডোজ) ভাগ করে এই টিকা দেওয়া হবে। শিশুর দুই বছর বয়স হওয়ার পূর্বে চতুর্থ ডোজ শিশুকে দিতে হবে। এই বিষয়ে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল যে, পরপর ৩ মাসে ৩ ডোজ ও ১৮ মাস পর দিতে হবে চতুর্থ ডোজ।
গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে যে, এক পরীক্ষায় টিকা গ্রহণের ফলে ১০টি শিশুর মধ্যে ৪ জনের শরীরে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার প্রমাণও তারা পেয়েছেন। তাছাড়া পরীক্ষাগারে দেখা গেছে যে, মারাত্মক ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও এই টিকা এক-তৃতীয়াংশ সফল হবে।
বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই টিকা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হবে। গবেষণাগারে ম্যালেরিয়ার টিকা কার্যকর এবং নিরাপদ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন দেখার বিষয় হলো বাস্তবে এটি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কতোটা কার্যকর ভূমিকা রাখে; বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চলগুলোতে এর কার্যকারীতা কতোটুকু।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও প্রাণঘাতী রোগগুলোর মধ্যে একটি হলো ম্যালেরিয়া। এর রোগে প্রতি বছর ৪ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে, যাদের অধিকাংশই আবার শিশু।