দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ড্রোন সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকেই জানি। ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা এখন প্রায় ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। তবে এই ড্রোন এবার একটি ভালো কাজও করেছে। হাঙরের মুখ থেকে সাঁতারুকে বাঁচালো ড্রোনের কারণে!
ড্রোন সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকেই জানি। ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা এখন প্রায় ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। তবে এই ড্রোন এবার একটি ভালো কাজও করেছে। হাঙরের মুখ থেকে সাঁতারুকে বাঁচালো ড্রোনের কারণে!
কোনও ড্রোন হাঙরের হাত থেকে এভাবে কােনো মানুষকে বাঁচিয়ে দিতে পারে, না দেখলে হয়তো আপনি বিশ্বাস করবেন না। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এর কথা। সেখানে এক সার্ফার সমুদ্রে সাঁতার কাটছিলেন। হাঙরের কবল হতে তাকে বাঁচিয়ে দিলো সেখানকার একটি ড্রোন।
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রের ধারে বৃহস্পতিবার ড্রোন ওড়িয়ে ছবি নিচ্ছিলেন ক্রিস্টোফার জয়েস। চেষ্টা করছিলেন হাঙ্গরের কিছু ছবি এবং ভিডিও তোলার। সেই মতো তার ড্রোনের ক্যামেরায় ধরাও পড়ে একটি হাঙ্গর। তবে তিনি লক্ষ্য করেন যে, হাঙ্গরটি কোনও একটি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেই ‘লক্ষ্য বস্তু’ই হলো একজন সাঁতারু। যিনি ওই সময় তার সার্ফ বোর্ড নিয়ে শান্তভাবে পানিতে ভাসছিলেন। হাঙ্গরটি তখন এগিয়ে যাচ্ছিল তারই দিকে।
সৈকত হতে ড্রোনে গোটা বিষয়টিই দেখতে পান ক্রিস্টোফার। তাৎক্ষণিক বুদ্ধি করে তিনি তখন ড্রোনে লাগানো লাউড স্পিকারে ‘হাঙর-হাঙর, দ্রুত পানি থেকে বেরিয়ে আসুন’ বলে চিত্কার করতে থাকেন। এই সময় চুপি চুপি তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকা হাঙরটিকে প্রথমে দেখতেই পাননি সাঁতারু। সেই সতর্কবার্তা তার কানে যেতেই বুঝতে পারেন যে, বিপদ তার দিকে এগিয়ে আসছে।
ওই সাঁতারু বিপদ বুঝেই তিনি সাঁতরে পাড়ের দিকে যেতে শুরু করলেন। একদিকে লাউড স্পিকারের আওয়াজ, তার উপর হঠাৎ সাঁতারু দিক বদল করে দ্রুত সাঁতার কাটতে শুরু করায়, দুইয়ে মিলে হাঙরটি আর তার দিকে এগোতে সাহসই পায়নি। হাঙরটি দিক বদল করে সমু্দ্রের গভীরে চলে যায়। সাঁতারুও তখন খুব দ্রুত পাড়ে উঠে আসেন। শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান ওই সাঁতারু।
ক্রিস্টোফারের দাবি হলো, ওই হাঙরটি সাড়ে ৯ থেকে ১৩ ফুটের মতো লম্বা হবে। তিনি বলেন, তার ড্রোনে আগেও বহু হাঙরের ছবি ধরা পড়েছে। তবে ড্রোনের স্পিকার সিস্টেম ব্যবহার করে কাওকে হাঙরের মুখ থেকে বাঁচানোর ঘটনা এটিই প্রথম।
দেখুন ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?v=juJwuLssdjU