The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

১৩০ দেশ ভ্রমণ করেছেন একজন অন্ধ পর্যটক!

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তার ভ্রমণের নেশাকে এক চুলও প্রভাবিত করতে পারেনি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের ইচ্ছা শক্তিই যে সব কিছু সেই প্রমাণ দিলেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক টনি জাইলস। তিনি অন্ধ হয়েও এ পর্যন্ত ১৩০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন!

১৩০ দেশ ভ্রমণ করেছেন একজন অন্ধ পর্যটক! 1

টনি জাইলস ইতিমধ্যে ১৩০টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তার ইচ্ছা যে, তিনি বিশ্বের সবগুলো দেশ ঘুরে দেখবেন। যদিও তিনি অন্ধ ও বধির। তবে এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তার ভ্রমণের নেশাকে এক চুলও প্রভাবিত করতে পারেনি।

এখন প্রশ্ন হলো যখন তিনি চোখে দেখেন না তাহলে এই ব্যক্তিটি কীভাবে বিশ্বের নানা বৈচিত্র উপভোগ করেন? তাছাড়া তিনি কানেও শুনতে পান না। এর উত্তরও দিয়েছেন টনি জাইলস নিজেই। ইথিওপিয়া সফরের সময় বিবিসি’র ট্র্যাভেল শো’কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ৪১ বছর বয়সী এই ভ্রমণকারী বলেছেন, ‘আমি মানুষের কথা শুনি, পাহাড়ে উঠি, সবকিছুই আমি আমার স্পর্শ ও পায়ের মাধ্যমে অনুভব করে থাকি। ওভাবেই আমি একটি দেশকে দেখি।’

জাইলস গত ২০ বছর ধরে নতুন নতুন দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। সে রকমই একটি সফরের সময় তিনি তার গ্রিক বান্ধবীর সঙ্গে পরিচিত হন যিনি নিজেও একজন অন্ধ। গত বছর বান্ধবীর সঙ্গে রাশিয়া গিয়েছিলেন টনি জাইলস। বিশ্বের বৃহত্তম দেশটির এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্তে ট্রেনে করে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। তবে অধিকাংশ ভ্রমণে টনি জাইলস একাই ঘুরে বেড়িয়েছেন।

টনি জাইলসের ভ্রমণের অর্থ জোগাড় হয় তার বাবার পেনশনের টাকা হতে। কাজেই আগে থেকেই যথেষ্ট পরিকল্পনা করে ভ্রমণসূচি ঠিক করে ফেলেন টনি। প্লেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে তার মা তাকে সাহায্য করে থাকেন। কেনোনা অধিকাংশ এয়ারলাইন্স কোম্পানিতেই অন্ধদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা দেওয়া হয়নি।

কোনো দেশে যাওয়ার সময় যারা তাকে সাহায্য করেন, তাদের সঙ্গে আগেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নেন টনি। এই বিষয়ে তার বক্তব্য হলো, ‘আমি কোনো বই বা ট্র্যাভেল গাইড দেখে ঠিক করতে পারি না যে একটি দেশের কোথায় কোথায় যাবো আমি। ওই তথ্যগুলো ভ্রমণের আগেই জানতে হয় আমাকে। তাই আমি আগে থেকেই আমার সূচি ঠিক করে থাকি।’

জানা যায়, টনি জাইলসের যখন ৯ মাস বয়স, তখন প্রথম তার চোখের সমস্যা ধরা পড়ে। ১০ বছর বয়সে টনির দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তারও আগে ৬ বছর বয়সে তিনি আংশিক বধির হয়ে যান। বর্তমানে কানে শোনার জন্য শক্তিশালী ডিজিটাল হিয়ারিং এইড ব্যবহার করলেও সব ধরণের শব্দ টনি শুনতে পারেন না।

১৩০ দেশ ভ্রমণ করেছেন একজন অন্ধ পর্যটক! 2

টনি একটি বিশেষ স্কুলে পড়ালেখা করেন এবং সেই স্কুল থেকেই ১৬ বছর বয়সে প্রথমবার বিদেশ ভ্রমণ করেন। এখনও মাঝেমধ্যে নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন টনি জাইলস। ২০০৮ সালে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়। ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান টনি জাইলস। ১৬ বছর বয়সে হারান তার খুব কাছের বন্ধুকে, যিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তারপর তিনি পুরোপুরি ভেঙে পড়েন। এমনকি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন টনি জাইলস। এই মদের নেশা কাটতে না কাটতেই শুরু হয় বিশ্ব ভ্রমণের নেশা।

নিউ অরলিন্সে ভ্রমণের মাধ্যমে তার ব্যাকপ্যাকিং অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয় ২০০০ সালের মার্চে। এরপর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি রাজ্য ঘুরে বেড়িয়েছেন টনি জাইলস। টনি জাইলস বলেন, ‘ভ্রমণ শুরু করার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল নিজের আবেগ হতে সরে থাকা।’

নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমণের কারণে তার মধ্যে অনেক ইতিবাচক চিন্তার সৃষ্টি হয়। তিনি মনে করেন যে, ‘মানুষের সঙ্গে মেশার পর আমি বুঝতে পারি, আমি অন্ধ বলে তারা আমার সঙ্গে মেশে না- মেশে একমাত্র আমার ব্যক্তিত্বের কারণে।’

টনি জাইলস সব সময় খুব কম খরচের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারেন। যে কোনো জায়গায় তিনি গণপরিবহন ব্যবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। থাকার ক্ষেত্রেও একদমই সাদামাটা আবাসস্থল পছন্দ করেন টনি জাইলস। সবকিছু স্পর্শের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করেন টনি। অনুভবের মাধ্যমে পরিচয় পেতে চান নানা বস্তুর। মানুষের সঙ্গে কথা বলে এবং অন্যদের কথা শুনে নিজের মনে সবকিছুর একটি চিত্র তৈরি করেন টনি জাইলস। সেজন্য ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় একটি শিল্পকলা যাদুঘরে সবকিছু ছুঁয়ে অনুভব করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো তাকে।

তবে যে কোনো জায়গায় সাধারণত দুর্গম পথ এড়িয়ে চলেন টনি জাইলস। অধিকাংশ সময়ই নিজের জন্য পৃথকভাবে গাইড ভাড়া করেন টনি জাইলস। তবে মাঝেমধ্যেই গাইডও পান না। কখনও কখনও পথও হারিয়ে ফেলেন তিনি। তবে হারিয়ে গেলেও আতঙ্কিত হন না টনি জাইলস। অপেক্ষা করতে থাকেন কোনো একজন পথিকের জন্য, যে তাকে সাহায্য করবে। বহুবার এমন হয়েছে, অপরিচিত মানুষ তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আপ্যায়নও করেছেন। অনেকসময়ই অপিরিচিত ব্যক্তিরা তার সফরে তাকে সাহায্যও করেছেন।

টনি জাইলসের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নতুন দেশে গিয়ে নতুন নোট চেনার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে তিনি একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তবেই তিনি তাকে নিয়ে এটিএম বুথে গিয়ে টাকা তোলেন।

বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সময় টনি জাইলস সেসব অঞ্চলের বিভিন্ন ধরণের বাদ্যযন্ত্র বাজাতেও পছন্দ করেন। তিনি বলেন, কেনোনা, ‘সঙ্গীত আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। সঙ্গীতের মধ্যে আমি নিজেকেই যেনো খুঁজে পাই। সঙ্গীত সব বাধাই অতিক্রম করতে পারে।’

সব অঞ্চলের স্থানীয় খাবার খাওয়াও তার ভ্রমণের অন্যতম একটি লক্ষ্য থাকে। টনি জাইলস অনেক দর্শনীয় জায়গাতেও গিয়েছেন এবং অনেক জায়গার ছবিও তিনি তুলেছেন। সেসব ছবি টনি জাইলস নিজে হয়তো উপভোগ করতে পারেন না, তবে তার ওয়েবসাইটগুলোতে দর্শকরা সেসব ছবি দেখে বিশ্বের নানা জায়গা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারেন।

অনেকসময় মানুষ তার ভ্রমণের নেশা দেখে অবাক হয়ে যান। তবে তারা তো জানেন না, একজন অন্ধ ব্যক্তিও পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ উপভোগ করতে পারেন, যদি তার একটা মনের চোখ খোলা থাকে। টনি জাইলসের সেই মনের চোখটা রয়েছে, যা দিয়ে তিনি গোটা দুনিয়া ঘুরে দেখছেন এবং আজীবন দেখতে চান।

Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali