দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলাইলের মতো বিশ্বের একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী যিনি সেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাকি জেলেও যেতে পারেন এমন খবরে বিস্মিত পুরো বিশ্ব!
ইসলাইলের মতো বিশ্বের একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী যিনি সেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাকি জেলেও যেতে পারেন এমন খবরে বিস্মিত পুরো বিশ্ব!
ইসরাইলের নির্বাচনে নেতানিয়াহুর প্রতিপক্ষকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে সংখ্যালঘু মুসলিম দলগুলোর জোট। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্তজের সরকার গঠনের সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। আর তাই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে নেতানিয়াহুর জেলে যাওয়ার বিষয়টি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ৪টি দুর্নীতির মামলা রয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারলে তাকে প্রায় নিশ্চিতভাবেই কারাগারে যেতে হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জানা যায়, ইসরাইলে অবস্থিত সেখানকার বসবাসকারী আরবদের জোট জয়েন্ট লিস্ট গত নির্বাচনেও তৃতীয় স্থান দখল করে। তারা গান্তজকেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। জোটের নেতারা বলেছেন যে, নেতানিয়াহুকে তারা আর ক্ষমতায় দেখতে চান না। যে কারণে রেকর্ড বার অর্থাৎ পঞ্চমবারের মতো বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেছে। মঙ্গলবারের নির্বাচনে গান্তজের মধ্যপন্থী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি, নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টির থেকেও দু’টি আসন বেশি পেয়েছে।
ওই নির্বাচনে নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টি ৩১ আসন এবং বেনি গান্তজের মধ্যপন্থী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি ৩৩টি আসন পেয়েছে। সরকার গঠন করতে হলে ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের ১২০ আসনের মধ্যে ৬১টি আসন পেতেই হবে। অপর দিকে আরব জোট পেয়েছে ১৩টি আসন।
উল্লেখ্য, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের পর পর চার বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশ চালাচ্ছেন। তবে তার মুসলিম বিরোধী কট্টর অবস্থানের কারণে অনেকেই তাকে তিরষ্কার করে থাকেন। বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর কাছেও তিনি একজন ধিকৃত রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন। কারণ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর অত্যাচার – নির্যাতন যেনো নিত্য দিনের ঘটনা। বেসামরিক মানুষের উপর মর্টার হামলা চালানো ইসরাইলী বাহিনীর যেনো পানি পান্তার মতো ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে এই সব হামলার ঘটনা। যে সব ঘটনার কারণে ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিক এমন কি নারী শিশুও রেহাই পাচ্ছে না।