দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সম্পর্ক এমন এক তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাদ দিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে পাকিস্তান আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে! তবে মোদিকে বাদ দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সম্পর্ক এমন এক তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাদ দিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে পাকিস্তান আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে! তবে মোদিকে বাদ দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে এই খবরটি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাদ দিয়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছে পাকিস্তান! কর্তারপুর করিডোরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি।
এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মঙ্গলবার পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন যে, মনমোহন সিং শিখ ধর্মের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। তাছাড়া পাকিস্তানেও খুব সম্মানীয় একজন ব্যক্তিত্ব। এসব বিবেচনায় সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকেই আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কোরেশি আরও জানান, চির বৈরী দেশ দুটির দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই কর্তারপুর করিডোরের উদ্বোধন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান তিক্ত সম্পর্কের কারণে তাদের এক মঞ্চে উপস্থিত থাকা প্রায় অনিশ্চিত একটি বিষয়। যে কারণে সিদ্ধান্ত বদল করে মনমোহনকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কর্তারপুর নামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই করিডোরটির উদ্বোধনে মনমোহন সিংকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সরকারিভাবে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতাকে – দীর্ঘ আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কর্তারপুর করিডোরো ভারত সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের শিখ ধর্মালম্বীদের পুণ্যার্থী দরবার সাহিব অবস্থিত। সেখানে প্রতি বছর প্রার্থনা করতে আসেন দু’দেশের হাজারো শিখ। কেনোনা কথিত রয়েছে যে, শিখ ধর্মালম্বীদের গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর নাকি এই কর্তারপুরে কাটিয়েছিলেন।