দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কবুতরের চিঠি আদান-প্রদানের কথা আমাদের সকলের জানা। তাছাড়া সেই ইতিহাসও হাজার বছরের। কিন্তু এবার কবুতরের সঙ্গে যুক্ত হলো কাক ও ডলফিনের নাম।
এক সময় গুপ্তচরের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করা হতো কবুতরকে। তবে কাঁক ও ডলফিন যে গুপ্তচরের কাজ করতে পারে সে বিষয়টি আগে কখনও শোনা যায়নি। তবে এবার তা শোনা গেলো।
সম্প্রতি সিআইএ’র একটি তথ্যে প্রকাশ পেয়েছে এমন একটি ঘটনার কথা। তাতে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি কবুতর, কাঁক এবং ডলফিন এই ৩টিকে ব্যবহার করা হতো গুপ্তচর হিসেবে! শুধু তাই নয়, এই প্রাণী মিশনের পেছনে ৬ লাখ ডলার পর্যন্ত খরচও করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়।
প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় যে, গোপন মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এসব প্রাণীদেরকে। কবুতরকে স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের গোপন স্থাপনার ছবি তুলতেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। সিআইএ কাঁক পাঠাতো শত্রুপক্ষের জানালায় গোপন স্পিকার ফেলে আসার জন্য।
এই উপলক্ষে কাঁককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো ৪০ গ্রাম ওজনের কোন বস্তু জানালার ধারে ফেলে আসা কিংবা নিয়ে আসার জন্য। যেসব ভবনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হতো সেখানে এদেরকে পাঠানো হতো। লেজার দিয়ে কোথায় বস্তুটি ফেলতে হবে সেই টার্গেটও বুঝিয়ে দেওয়া হতো কাঁককে। বাতির সংকেত দিয়ে তাকে আবার ফিরে আসতে বলা হতো।
ডলফিনের ক্ষেত্রে যা ঘটতো। ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো পানির নিচের মিশনে। বিশেষ করে সমুদ্র বন্দরের নিচে ঢোকার জন্য এটি করা হতো। ডলফিন দিয়ে হামলার চেষ্টা করে সফলও হয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি পরিযায়ী পাখি দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করানো যায় কিনা সেই চিন্তাও করে। কুকুরের মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দিয়ে দূর হতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা সেই বিষয়টিও গবেষণা করেছে।
জানা যায়, তবে এই গুপ্তচরের সফল কাজটি করেছে কবুতর। এর আশ্চর্যজনক এক ক্ষমতা হলো, শত মাইল দূরে অপরিচিত কোনো যায়গায় তথ্য ফেলে আসার পরও ঠিক পথ ধরেই বাড়ি ফিরতে পারতো কবুতর।
এটি আজকের কথা নয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপন তথ্য সংগ্রহে কবুতর ব্যবহার করা হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার কবুতর গোয়েন্দা বাহিনীও ছিল। যাকে মূলত বলা হতো ‘সিক্রেট পিজন সার্ভিস’। এই বিশেষ কবুতর গোয়েন্দা বাহিনীর এক হাজারের বেশি কবুতর সফলভাবে বার্তা নিয়ে ফিরেও আসে বলে জানা যায়।
জার্মানদের রাডার স্টেশন এবং রকেট স্থাপনা সম্পর্কে কবুতরের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায়। ’৭০ এর দশকে টাকানা নামে একটি অভিযানের অংশ হিসেবে কবুতর দিয়ে ছবি তোলার বিষয়টিও চিন্তা করা হয়।
সিআইএ সেই সময় কবুতর দিয়ে ছবি তোলার পরীক্ষামূলক অভিযানও শুরু করে। ৩৫ গ্রাম ওজনের ক্যামেরা তাদের শরীরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওই ক্যামেরাগুলো ছিল স্বয়ংক্রিয়। কবুতরের কাজ ছিল কেবলমাত্র সঠিক জায়গা দিয়ে উড়ে যাওয়া। তাতেই ক্যামেরায় বন্দি হতো আশপাশের সকল দৃশ্য।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, ১৯৭৬ সালের একটি নথি অনুযায়ী লেনিনগ্রাদের কাছে রাশিয়া সবচেয়ে শক্তিশালী সাবমেরিন তৈরি করাতো, সেই সময় এমন একটি বন্দরকে নির্বাচিত করা হয়েছিল গুপ্তচর কবুতরদের মিশনের জন্য। তবে এই মিশনে কী ধরনের গোপন তথ্য পাওয়া যায় সে সম্পর্কিত নথিপত্র এখন পর্যন্ত গোপন রয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক সময় মার্কিন নৌবাহিনী নাকি মাইন অপসারণের কাজে ডলফিন ব্যবহার করে আসছে। তাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সফলতাও পাওযা গেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন এই গোয়েন্দা সংস্থাটি।
This post was last modified on অক্টোবর ৮, ২০১৯ 12:01 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…