দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ মহাকাশে অনেক কিছু পাওয়া যাওয়ার খবর আমরা মাঝে মধ্যেই দেখে থাকি। তবে এবার একটু ব্যতিক্রমি ঘটনা হলো মহাকাশে পাওয়া গেলো চিনির সন্ধান! সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মহাকাশে এই প্রথম বারের মতো চিনির (সুগার) হদিস পাওয়া গেলো। অবশ্য আমরা যে চিনি খেয়ে থাকি সেই চিনি এটি নয়। তবে একই গোত্রের ‘সুগার’ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সুগার গোত্রের ৩টি যৌগ ‘রাইবোজ’, ‘জাইলোজ’ এবং ‘আরবিনোজ’এর হদিস পাওয়া গেলো দুটি উল্কাপিণ্ড ‘এনডব্লিউএ-৮০১’ ও ‘মুর্চিসন’। উল্কা আসলে তৈরি হয় কোনো গ্রহাণু কিংবা অ্যাস্টারয়েডের অংশ হতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মহাকাশে এই প্রথম বারের মতো চিনির (সুগার) হদিস পাওয়া গেলো। অবশ্য আমরা যে চিনি খেয়ে থাকি সেই চিনি এটি নয়। তবে একই গোত্রের ‘সুগার’ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সুগার গোত্রের ৩টি যৌগ ‘রাইবোজ’, ‘জাইলোজ’ এবং ‘আরবিনোজ’এর হদিস পাওয়া গেলো দুটি উল্কাপিণ্ড ‘এনডব্লিউএ-৮০১’ ও ‘মুর্চিসন’। উল্কা আসলে তৈরি হয় কোনো গ্রহাণু কিংবা অ্যাস্টারয়েডের অংশ হতে।
এই উল্কাপিণ্ড দুটিতে এই ‘সুগার’ গোত্রের যৌগের সন্ধান পাওয়ায় এই বিশ্বাসই জোরালো হয়েছে যে, ইতিপূর্বে বা সুদূর অতীতে কোনো গ্রহাণু কিংবা উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষেই পৃথিবীতে সুগার গোত্রের আমদানি হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ এর সংখ্যায়।
ওই গবেষণাপত্রে নাসার একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন যে, এটি মূলত একটি অভিনব আবিষ্কার। কারণ হলো এর পূর্বে প্রাণ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরির উপাদান অ্যামাইনো অ্যাসিডের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিলো মহাকাশে। সেখানে পাওয়া গিয়েছিল প্রাণ সৃষ্টির আরও দুটি উপাদান ‘ডিএনএ’ ও ‘আরএনএ’ তৈরির উপাদান (নিউক্লিওবেসেস)।
এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই আবিষ্কারের কারণে আমাদের এই বিশ্বাস আরও জোরালো হয়েছে যে ব্রহ্মাণ্ডের অন্যত্রও প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া সম্ভব। কারণ এই সুগার গোত্রের যৌগ ব্রহ্মাণ্ডের অন্যত্রেও রয়েছে। এই সৌরমণ্ডলে যেহেতু এই যৌগের হদিস পাওয়ায় গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষেই যে এই ধরনের যৌগ পৃথিবীতে এসেছে, সেই ধারণা আরও পাকাপোক্ত হলো। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাণের বীজ যে বাইরে হতেই এসেছিল ৪৫০-৫০০ কোটি বছর পূর্বে, সেই তত্ত্বও আরও জোরদার হলো। মহাকাশে চিনির সন্ধান পাওয়ার পর অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহেও প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার আশা আরও জোরালো হলো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।