দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কয়েক লাখ উইঘুর মুসলিমকে চীনে গোপন বন্দিশালায় আটকে রেখে কীভাবে তাদেরকে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তার কিছু দলিলপত্র সম্প্রতি ফাঁস করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে এই ধরনের গোপন বন্দিশালার তথ্য চীন বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং চীন সব সময় বলে থাকে যে, মুসলিমরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসে থাকে।
কয়েক লাখ উইঘুর মুসলিমকে চীনে গোপন বন্দিশালায় আটকে রেখে কীভাবে তাদেরকে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তার কিছু দলিলপত্র সম্প্রতি ফাঁস করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে এই ধরনের গোপন বন্দিশালার তথ্য চীন বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং চীন সব সময় বলে থাকে যে, মুসলিমরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় এখানে প্রশিক্ষণ নিতে এসে থাকে।
চীন বহু আগে থেকেই এই বিষয়ে দাবি করে আসছে যে, এগুলো প্রকৃতপক্ষে প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা শিবির। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে যেসব ফাঁস হওয়া গোপন দলিলপত্র হাতে পেয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে কীভাবে এই উইঘুর মুসলিমদের বন্দি করে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। আবার শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন সময় মুসলিম নারীদের বোরখা কেটে নেওয়া সহ নানা অত্যাচার-নির্যাতন করে চীনের পুলিশ
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে যে, সাংবাদিকদের এই দলে রয়েছেন বিবিসিসহ ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক। যদিও যুক্তরাজ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত অবশ্য বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এসব দলিলের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যে, এটি একটি ভুয়া খবর। ধারণা করা হচ্ছে, এসব শিবিরে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিমকে বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই হলো উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিম।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও জানা যায়, বিবিসির কাছে যেসব দলিল এসেছে, সেগুলো হলো আসলে কীভাবে এই বন্দিশিবির চালাতে হবে তার নির্দেশনা। চীনের শিনজিয়াং কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি সেক্রেটারি ঝু হাইলুন ২০১৭ সালে ৯ পৃষ্ঠার ওই সরকারি দলিল পাঠিয়েছিলেন যারা এসব শিবির পরিচালনা করে থাকেন তাদের কাছে। এসব নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, এই শিবিরগুলো অত্যন্ত সুরক্ষিত জেলখানার মতোই চালাতে হবে, বজায় রাখতে হবে কঠোর শৃঙ্খলা। কেও যাতে সেখান থেকে কোনও ভাবেই পালিয়ে যেতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি