দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ একটি হরিণ প্রায় ৭ কেজি প্লাস্টিক কফির কাপ খেয়ে ফেলে শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটেছে। মৃত্যুর পর তার পেট থেকে পাওয়া যায় ওই ৭ কেজি প্লাস্টিকের কফির কাপ! এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তর থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল পার্কে। সেখানকার একটি মৃত হরিণের পাকস্থলিতে ৭ কেজি ওজনের বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পাওয়া গেছে। তার ভেতর প্লাস্টিক ও ওয়ান-টাইম কফির কাপও ছিল। এসবের পাশাপাশি হরিণটির পেটে পুরুষদের আন্ডারওয়্যারও ছিল বলে বিবিসির এক খবরে জানা যায়।
একটি হরিণ প্রায় ৭ কেজি প্লাস্টিক কফির কাপ খেয়ে ফেলে শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটেছে। মৃত্যুর পর তার পেট থেকে পাওয়া যায় ওই ৭ কেজি প্লাস্টিকের কফির কাপ! এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তর থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল পার্কে। সেখানকার একটি মৃত হরিণের পাকস্থলিতে ৭ কেজি ওজনের বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পাওয়া গেছে। তার ভেতর প্লাস্টিক ও ওয়ান-টাইম কফির কাপও ছিল। এসবের পাশাপাশি হরিণটির পেটে পুরুষদের আন্ডারওয়্যারও ছিল বলে বিবিসির এক খবরে জানা যায়।
ওই পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, হরিণটি মারা যাওয়ার পূর্বে দীর্ঘ সময় প্লাস্টিক খেয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতেওই থাইল্যান্ডের একটি হরিণ প্লাস্টিক খেয়ে মারা যায়। এই ঘটনার পর পার্ক কর্তৃপক্ষ বেশ চাপের মধ্যে পড়ে। প্রাণীদের দিকে খেয়াল না করার অভিযোগ উঠে তাদের প্রতি।
দেশটির প্রাণিবিদরা বলেছেন যে, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার এখনই মোক্ষম সময়। তা না হলে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
গত জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের একটি বিখ্যাত পার্কে পলিথিন ব্যাগ খেয়ে ৯টি হরিণের মৃত্যু ঘটে। পর্যটকরা চিনিমুক্ত বিস্কুট তাদের খেতে দিতো, এই বিস্কুটের সঙ্গে প্লাস্টিকের মোড়কও গিলে ফেলতো সেখানকার হরিণগুলো।
পশু চিকিৎসকরা বলেছেন যে, হরিণের পাকস্থলীতে ৪টি প্রকোষ্ঠ থাকে। তারা খাওয়া জিনিস হজম করতে না পারলে, অপুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে মারাও যেতে পারে।
প্লাস্টিক আমাদের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তার প্রমাণ আমরা বিভিন্ন সময় পেয়ে থাকি। যেমন এই ঘটনাটিও তেমনই একটি ঘটনা। প্লাস্টিকের কারণে জীবন চলে গেলো হরিণের। আমাদের আশে পাশে প্রতিদিন কতো প্লাস্টিক সমগ্রী পড়ে থাকে। যেগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই প্লাস্টিক সামগ্রী বর্জন করতে হবে।