দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের সান্না ম্যারিন সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের সান্না ম্যারিন সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে।
জানা গেছে, সান্না ম্যারিন প্রকৃত পক্ষে একজন কর্মজীবী মা। একটি সমলিঙ্গের পরিবারে তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন। তার মা একজন সমকামী ছিলেন এবং থাকতেন তার নারী সঙ্গিনীকে নিয়েই। এমন একটা প্রথাবহির্ভূত পরিবারেই বড়ো হওয়ার কারণে একটা সময় পর্যন্ত তিনি কিছুটা হীনমন্যতাতে ভুগতেন। হেলসিংকিতে জন্ম নেওয়া সান্না ম্যারিনকে কেও তার পরিবারের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার সমকামী পরিবারের কথা প্রকাশ্যে বলতেও পারতেন না। তার যতো কথা মনের মধ্যেই গুমরে গুমরে কাঁদতো, সমাজ-সংসারে নিজেকে তার ‘অদৃশ্য’ বলেই মনে হতো।
সমকামী পরিবারের সংখ্যা মূলত পশ্চিমা বিশ্বে বর্তমানে পূর্বের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। যদিও এমন পরিবারে বেড়ে ওঠা সন্তানদের ওপর পরিবারের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়টি পুরোপুরিভাবে কখনও প্রমাণিত হয়নি। সমকামী পরিবারে বেড়ে ওঠা সন্তানের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে মান্না নিজের কথা তুলে ধরেন।
সান্না বলেছেন, ‘নীরবতাটা আমাকে দিন দিন কুড়ে কুড়েই খাচ্ছিল, নিজের অস্তিত্বহীনতার অনুভূতি আপন যোগ্যতা সম্পর্কেই আমাকে সন্দিহান করে তুলেছিল কোনো এক সময়। আমাদের পরিবারটি কোনো সত্যিকার পরিবার কিংবা অন্যদের সমকক্ষ বলে বিবেচিত হতো না। তবে আমাকে তাই বলে তেমন কোনো রকম হয়রানির শিকার হতে হয়নি। ছোটোবেলা থেকেই আমি ছিলাম খুব অকপট এবং একগুঁয়ে স্বভাবের মানুষ। আমি কখনও কোনো কিছুই হালকাভাবে নেইনি।’
এক বেকারিতে কাজ করে সান্না ম্যারিন তার টিনএজ সময়টা কাটিয়েছেন। তার পরিবারে তিনিই ছিলেন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। সান্না ম্যারিন বলেন, তাকে তার পছন্দমতো চলতে মা সবসময়ই সমর্থন দিয়ে এসেছেন। ৩৪ বছর বয়সী সান্না ম্যারিনের ২২ বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে, তার নাম এমা অ্যামেলিয়া ম্যারিন। ফিনল্যান্ডের তরুণী প্রধানমন্ত্রী সান্না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সন্তান ধারণ এবং মা হওয়ার পুরো বৃত্তান্তই তুলে ধরেছেন। এমনকি শিশুকে স্তন্যপান করানো ও একজন কর্মজীবী মা হিসেবে সন্তানের সঙ্গে কীভাবে তার সময় কাটে- ইত্যাদি এসব কিছুর ছবিই তিনি শেয়ার করেছেন, যাতে অন্য কর্মজীবী মায়েরাও তার জীবন সংগ্রাম দেখে ঠিক এভাবেই অনুপ্রাণিত হতে পারেন।