দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফোন নিয়ে মানুষের আগ্রহের যেনো শেষ নেই। আর তাই জরিপ চালানো হয়েছে আইফোন নিয়ে। আর সেই জরিপে উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য। জরিপ বলছে যে, ২০১৯ সালে বাজার কাঁপিয়েছে আইফোন এক্সআর!
আইফোন নিয়ে মানুষের আগ্রহের যেনো শেষ নেই। আর তাই জরিপ চালানো হয়েছে আইফোন নিয়ে। আর সেই জরিপে উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য। জরিপ বলছে যে, ২০১৯ সালে বাজার কাঁপিয়েছে আইফোন এক্সআর!
গত বছর বাজারে নেমেই প্রযুক্তিপ্রেমীদের দৃষ্টি কেড়ে নেয় আইফোন এক্সআর। এবার জরিপ বলছে, অন্যান্য হ্যান্ডসেটের তুলনায় আইফোন এক্সআর বিশ্বব্যাপী বিক্রি হয়েছে বেশি।
আইফোন এক্সআর-এ দেখা যায় সর্বশেষ মোবাইল চিপ, জোড়া ক্যামেরা ও সাশ্রয়ী পর্দা। আইফোন এক্সআর এর দাম ধরা হয়েছিল ৭৪৯ ডলার। ওই সময়ের আইফোন এক্সএস হতে ২৫ শতাংশ কম দামেই আইফোন এক্সআর ফোনটিকে বাজারে ছেড়েছিল অ্যাপল। সবমিলিয়ে মধ্যম মানের ফোন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিতে সমর্থ হয় আইফোন এক্সআর। অন্তত বাজার অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের জরিপ তথ্য সেটিই বলছে। এই খবর দিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য মতে, প্রায় এক বছর ধরে বিশ্বব্যাপী অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে এই আইফোন এক্সআর। বাজারে এই আইফোন এক্সআর ফোনটি একে একে পেছনে ফেলেছে স্যামসাং এ১০, অপ্পো এ৯, শাওমি রেডমি ৭এ ও হুয়াওয়ে পি৩০’ ফোনকে।
আইফোন এক্সআর’র এতো বিক্রি প্রতিষ্ঠানটির আইফোন মুনাফা বাড়াতেও বেশ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। টেক জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের আইফোন মুনাফা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যম সিনেট।
কাউন্টারপয়েন্ট আরও বলছে, দামের ব্যাপারটি আইফোন এক্সআর’র বিক্রির ক্ষেত্রে ভূমিকাই বেশি রেখেছে। দাম তুলনামূলকভাবে অন্যান্য আইফোন থেকে কম হওয়ার কারণে বাজারের আর দশটি সাশ্রয়ী ফোনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পেরেছে এই আইফোন এক্সআর ফোনটি। যদিও বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো রকম মন্তব্য করেনি অ্যাপল।
চলতি বছর রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছিলো যে, ভারতে ফক্সকনের কারখানাতেই নাকি আইফোন এক্সআর-এর সংযোজন কাজ চলেছে।
উল্লেখ্য যে, সাধারণভাবে মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আইফোন সংযোজনের কাজ চীনের মাটিতেই ফক্সকনের কারখানাতেই হয়ে থাকে বলে জানা যায়।