দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই মাঝে মধ্যে কিছু খবর আমাদেরকে বিস্মিত করে। আজও রয়েছে তেমনই একটি খবর। আর সেই খবরটি হলো পুরোনো একজোড়া জুতার দাম সাড়ে ৩ কোটি টাকা!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর পূর্বে ব্যবহৃত এক জোড়া জুতার দাম ৩ কোটি টাকা। তাহলে কেমন সেই জুতা, যার এমন অবিশ্বাস্য দাম উঠেছে। এমনকি সোনা কিংবা হিরা বাধানোও নয় এই জুতার সঙ্গে। তাহলে কেনো এতো দাম?
ইন্ডিয়া টুডের এক খবরে জানা যায়, সম্প্রতি নিলামে এই পুরোনো জুতো হলো নাইকির মুন শু। চাঁদে হাঁটার জুতা হিসেবে যেটি অধিক পরিচিত।
১৯৭১ সালে ব্যবহৃত নাইকির ওই স্নিকার্স নিলামে বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ সাড়ে ৩৭ হাজার ডলারে। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়াচ্ছে ৩ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি টাকা! জুতা নিলামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই জুতাটি।
নিলামকারী সংস্থা সোথবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ইতিপূর্বে ১৯৮৪ সালে অলিম্পিক বাস্কেটবল ফাইনালে ব্যবহৃত মাইকেল জর্ডানের স্বাক্ষর করা জুতোর নাকি সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল। ২০১৭ সালে নাইকি জুতা জোড়াটি বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের বিনিময়ে।
কানাডীয় সংগ্রাহক মাইলস নাদাল অনলাইন নিলামে দর কষাকষির মাধ্যমে নাইকির ওই জুতো জোড়াটি কিনেছিলেন। নাদাল জানিয়েছেন যে, গোপনে বিক্রি হওয়া একটি ব্যক্তিগত নিলামে আরও ৯৯ জোড়া জুতো কিনেছেন তিনি।
নাদাল আরও বলেন, “এই মুন শু কিনতে পেরে আমি খুবই রোমাঞ্চিত হয়েছি। নাইকির তৈরি দুষ্প্রাপ্য জুতোগুলোর মধ্যে এটি হলো অন্যতম। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক ক্রীড়া ইতিহাস। ৭০ এর দশকের পপ কালচারেরও অংশ ছিল এই জুতাজোড়াটি।”
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মার্কিন ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক নাইকির সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল বোয়ারম্যান ১৯৭২ সালের অলিম্পিক ট্রায়ালের জন্য দৌড়বিদদের জন্য ফ্ল্যাট রেস এই জুতাটির ডিজাইন করেছিলেন।
নিলামকারী সংস্থা জানিয়েছে, সেই সময় তৈরি প্রায় ১২ জোড়ার মধ্যে সম্প্রতি এই জুতাটিই ছিল সর্বশেষ জুতা।
সোথবির গ্লোবাল ই-কমার্স প্রধান নোয়া উনসচ এই বিষয়ে বলেছেন, “আমরা পূর্বের রেকর্ড মূল্যে নিলামের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে এই আইকনিক চাঁদের জুতা বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছি। এই ঘটনায় আমরা বেশ উত্তেজিত ও আনন্দিত।”