দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক কিনা, সেই বিষয়টি জানতে চেয়ে দেশটির বিদ্যমান তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) আবেদন করেছেন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার জনৈক বাসিন্দা! বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে পুরো ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভারতের খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় নাগরিক কিনা, সেই বিষয়টি জানতে চেয়ে দেশটির বিদ্যমান তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) আবেদন করেছেন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার জনৈক বাসিন্দা! বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে পুরো ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।
তথ্য অধিকার আইনে বিজেপি দলীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাওয়া ওই ব্যক্তির নাম হলো জোস কাল্লুভিটিল। কেরালার ত্রিসূর জেলার বাসিন্দা কাল্লুভাটি গত ১৩ জানুয়ারি তথ্য অধিকার আইনে ওই আবেদনটি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্বের প্রামাণ্য নথি দেখতে চেয়েছেন ভারতের ওই নাগরিক!
জেলার চালক্কুডি পৌরসভার জনসংযোগ কর্মকর্তা বরাবর আবেদনটি করেন তিনি। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ‘নির্যাতিত’ সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, জৈন, পারসি, খ্রিষ্টান এবং বৌদ্ধদের নাগরিত্ব দেওয়ার বিধান রেখে মোদি সরকার সম্প্রতি যে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করছেন তার বিরুদ্ধে পুরো ভারত জুড়েই বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আসামেও এনআরসি করা হয়েছে। তাতে নাগরিকত্ব হারিয়েছেন দেশটির ১৯ লাখ মানুষ। এছাড়াও সম্প্রতি মোদি সরকার জাতীয় জনসংখ্যা তালিকা (এনিপিআর) করারও ঘোষণা দিয়েছে। নাগরিকত্ব আইন মানবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ৯টি রাজ্য। প্রস্তাবও পাশ করেছে।
এদিকে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে করা শতাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গত বুধবার দেশটির প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ১৪০টিরও বেশি করা আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
রাজধানী দিল্লি হতে কোলকাতা ভারতের দক্ষিণ হতে উত্তর-পূর্ব প্রতিবাদের আগুনের লেলিহান যেনো জ্বলছেই। এক মাসেরও বেশি সময় আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হলেও নিজেদের অবস্থান হতে বিন্দুমাত্র সরেনি বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘আপনারা যতো খুশি আন্দোলন করুন, সিএএ হতে আমরা এক পা পিছু হটবো না।’