দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ খৃস্টাব্দ, ১৭ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ। এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি ১৮শ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা সদর হতে ৩ কিলোমিটার দূরে তেঁতুলিয়া গ্রামে ১৮শ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন তেঁতুলিয়া জামে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটি স্থানীয়ভাবে মিয়ার মসজিদ বা তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ নামেও পরিচিত। তবে মসজিদের মূল নাম তেঁতুলিয়া খান বাহাদুর কাজী সালামতউল্লাহ জামে মসজিদ। মসজিদের গায়ে প্রাপ্ত শিলালিপি হতে জানা যায় যে, ১২৭০ বঙ্গাব্দে জমিদার সালামতুল্লাহ খান কোলকাতার ‘সিন্দুরে পট্টি’ মসজিদের নকশার অনুকরণ করে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।
মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৯ ফুট উঁচু এবং ৪ ফুট প্রস্থের ৭টি দরজা। ১২টি পিলারের উপর চুন সুরকি এবং চিটাগুড়ের গাথুনিতে নির্মিত মসজিদের ছাদে ৬টি গম্বুজ এবং ২০টি সুউচ্চ মিনারও রয়েছে। তেঁতুলিয়া জামে মসজিদের ভেতর ও বাইরে মিলিয়ে ৫ শতাধিক মুসল্লী একত্রে এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রায় দেড়শত বছরের পুরাতন ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ হতে মাত্র ১০০ গজ দূরত্বে রয়েছে তেঁতুলিয়া শাহী মসজিদ নামক আরও একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর তেঁতুলিয়া জামে মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে।