দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনে নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত চীনে ১৩২ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার। এই তথ্য দিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন।
চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ায় এক বিশেষজ্ঞের বরাতে বলা হয় যে, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও সর্বোচ্চ আকার ধারণ করতে পারে। চীন ছাড়াও ১৭টি দেশের ৭১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গবেষণাগারে করোনা ভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর হতে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই ভাইরাস শুধু চীন নয় অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাস এখন এক মহা আতঙ্কের নাম।
চীনের বিভিন্ন শহর ছাড়াও থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, কানাডা, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনা ভাইরাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, চীনে সফর করেছেন এমন লোকজনের মাধ্যমেই এই ভাইরাসটি মূলত ছড়িয়ে পড়ছে। সে কারণেই অনেক দেশই এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন সফরে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগও প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে। চীনের কোনো ফ্লাইট অন্য দেশে গেলে সে দেশও ফ্লাইটের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। সারা বিশ্বেই বর্তমানে এই করোনা ভাইরাস আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এদিকে বাংলাদেশের বহু নাগরিক চীনে আটকা পড়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষা গ্রহণের জন্য যারা চীনে অবস্থান করছেন তারা এক করুণ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কারণ তারা দেশেও আসতে পারছেন না। আবার বাইরেও বের হতে পারছেন না। চীনে বাংলাদেশের দূতাবাস তাদের ভিত না হয়ে স্বাভাবিক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশীে নাগরিকদের আপাতত এই মুহূর্তে দেশে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে শান্তনা দেওয়া ও খোঁজ খবর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।