দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেড়াতে গেলে ঐতিহাসিক স্থানে যাওয়ায় হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ সেখানে গেলে যেমন বেড়ানো হবে ঠিক তেমনি ইতিহাসের অনেক কিছুই আপনার জানা হয়ে যাবে।
ধর্মপালের গড়টি কোথায়? নীলফামারী জেলাস্থ জলঢাকা উপজেলার দেওনাই নদীর পূর্বতীরে ধর্মপাল ইউনিয়নে গড় ধর্মপাল গ্রামে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের নাম হলো ধর্মপালের গড়। ১৯৯০ সালে এখানে খনন কাজ শুরু করা হলে তা পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পুনঃখনন করলে ধর্মপাল গড়টি আবিষ্কৃত হয়।
ঐতিহাসিক সূত্রানুসারে জানা যায়, পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল পালের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল রাজ সিংহাসনে আরোহন করলে রাজ্য পরিচালনার জন্য জলঢাকা উপজেলা হতে ২০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে বহিঃশত্রুর হাত হতে এই রাজধানীকে রক্ষার জন্য চারপাশে বিশাল মাটির প্রাচীর গড়ে তোলেন। মূলত তখন থেকে এই স্থানের নামকরণ করা হয় ধর্মপালের গড়। এই গড় হতে ১ মাইল পূর্বে পাল আমলের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ এবং প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রায় ৩৩ বিঘা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত চন্দনপাঠের দীঘি এখনও পাল আমলের স্মৃতি ধারণ করে চলেছে। বর্তমানে এই ধ্বংসাবশেষের কাছেই গড় ধর্মপাল নামের আবাসন প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে।
যাবেন কিভাবে
রাজধানী ঢাকার কলেজগেট, গাবতলী অথবা মহাখালী হতে নীলফামারীতে যাওয়ার জন্য সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়াও কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে নীলফামারী যাওয়া যাবে। আবার ডোমেস্টিক এয়ারলাইন্সে ঢাকা হতে সৈয়দপুর গিয়েও আপনি নীলফামারী যেতে পারবেন। নীলফামারী জেলা শহর হতে বাস কিংবা সিএনজিতে জলঢাকা উপজেলায় গিয়ে অটো রিক্সা নিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গড়ের হাট হয়ে ধর্মপাল গড় দেখার জন্য যেতে পারবেন।
থাকবেন কোথায়
নীলফামারী জেলার আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল প্রিমিয়ার, অবকাশ হোটেল, রনি ড্রিম, শিশির হোটেল, আর রহমান এবং নাভানা রেস্ট হাউজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
খাবেন কোথায়
নীলফামারীতে খাওয়ার জন্য বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। তাজিন উদ্দিন গ্র্যান্ড হোটেল, দারুচিনি ক্যাফে, হোটেল স্টার, হোটেল টিপ টপ, হোটেল আকবরিয়া ও হোটেল রহমতিয়াসহ ভালোমানের কিছু খাবার হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
নীলফামারীর অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
নীলফামারীর দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রেলওয়ে বিশাল কারখানা, নীলসাগর, তিস্তা ব্যারেজ এবং চিনি মসজিদ হলো অন্যতম। আপনি ইচ্ছে করলে এই সব স্থানেও ঘুরে আসতে পারেন।